শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জাল যে কত দূর ছড়িয়ে রয়েছে ,তার নাগাল পেতে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে ED ও সিবিআই কে । প্রথমে গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টপাধ্যায়।পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার দুই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৫০কোটি টাকা ও কোটি কোটি টাকার গয়না।
নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে, কুন্তল ঘোষ, বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য ও তার ঘনিষ্ঠ তাপস সকলেই রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। বাদ যায়নি টলিউডের অভিনেতারাও।রাজ্যের শাসক দলের মাথাদের গ্রেফতার করেও,এতদিন ধরে তদন্ত করেও কোন কিনারা করতে পারছেন না সিবিআই।
এজন্যই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাদের কটাক্ষ করেন । এবার অকর্মন্যতার অভিযোগে নিম্ন আদালতও ভর্ৎসনা করল সিবিআইকে। এমনকি বাদ যাননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীও।
তবে সিবিআই এর আইনজীবী এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, দুর্নীতির শিকড় অনেক গভীরে,তাই আমাদের এতটা সময় লাগছে। পার্থ, সুবীরেশ, শান্তিপ্রসাদদের আলিপুর আদালতে পেশ করা হলে সেখানে পার্থর আইনজীবী অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন করেন।
আরো খবর: আপনার আধার কা’র্ড ভুয়ো না আসল? চিনবেন কিভাবে?
আইনজীবী বিচারককে বলেন, “চার্জশিট দেখে যা বুঝতে পারছি তাতে নিকট ভবিষ্যতে শুনানির কোনও সম্ভবনা দেখতে পারছি না।” একটি চার্জশিটে উল্লেখিত ১৬ জন অভিযুক্তর মধ্যে মাত্র ৭ জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে সিবিআই।
অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ” আমি নিযোগ প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলাম না। চাকরি দিইনি কাউকে। বিনা অপরাধে আমি জেল খাটছি। আমি কেন ভুগব? আমাকে জামিন দেওয়া হোক। সিবিআই নিজের অকর্মন্যতা ঢাকতে যা খুশি তাই করছে। “