ভারতীয় সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো গরু। তাই গরুকে দেশের জাতীয় পশুর তকমা দেওয়া উচিত। একইসঙ্গে গো রক্ষা হিন্দুদের মৌলিক অধিকার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সম্প্রতি একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এমনই মন্তব্য করেছে সংশ্লিষ্ট আদালত। বুধবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে গরুকে জাতীয় পশু করার স্বপক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের আইন করা উচিত। বিচারপতি শেখর যাদবের সিঙ্গেল বেঞ্চ উল্লেখ করেছে, বেদ এবং মহাভারতের মত ধর্মগ্রন্থে গরুকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আসন দেওয়া হয়েছে।
গরুকে মৌলিক অধিকার প্রদানের জন্য সংসদে বিল পেশ করা উচিত বলে দাবি করেছে আদালত। পাশাপাশি দেশজুড়ে গরুর উপর যেভাবে অত্যাচার চালানো হচ্ছে তা বন্ধ করার জন্য গরুর যারা ক্ষতি করছেন তাদের বিরুদ্ধে করা আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছে আদালত। ১২ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারপতি যাদব বলেছেন যখন কোন দেশের বিশ্বাস এবং সংস্কৃতি আঘাতপ্রাপ্ত হয় তখন সেই দেশ দুর্বল হয়ে পড়ে।
এই রায় প্রদান করেন এই মামলার প্রধান অভিযুক্তের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে আদালত। জাভেদ নামের ওই ব্যক্তি গরু চুরি করেছে, তাকে খুন করেছে, তার মুন্ডচ্ছেদ করে গোমাংস নিজের বাড়িতে রেখেছে! তারে কার্যকলাপ সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করছে বলে উল্লেখ করেছে আদালত। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া হয়নি।
বিচারপতি দাবি করেছেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এটাই প্রথম অভিযোগ নয়। অভিযুক্ত এর আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। যদি তাকে জামিনে মুক্ত করা হয় তাহলে তিনি আবার একই ঘটনা ঘটাবেন। বিচারপতি আরও বলেছেন, এর আগে মুসলিম শাসকেরাও গরুর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন। বাবর, হুমায়ুন এবং আকবর ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় গো-হত্যার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। মাইসোরের শাসক হায়দার আলিও গো-হত্যাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করেছিলেন।