সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

চিংড়ি খেয়েই এমন হ’লো না’কি খু’ন? কলকাতার রেস্টুরেন্ট থেকে খে’য়ে বে’র হতেই মৃ’ত্যু তরুণীর

বর্ষবরণের রাতে এক তরুণী কাছের বন্ধু তার সহকর্মীদের সঙ্গে রেস্তোরাঁ এসে আনন্দে মেতে উঠেছিলেন। বেশ কয়েক ঘণ্টা আনন্দ উৎসব করার পর সামনে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে ছিলেন ওই তরুণী। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে হঠাৎ কী এমন হলো, যার ফলে মৃত্যু হয়ে গেল ওই তরুনীর।

মৃত্যুর প্রায় দু’মাস পর তরুণ পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই তরুণীকে।স্বাভাবিকভাবেই মৃত্যুর জন্য অভিযোগের আঙুল উঠেছে ওই তরুণীর বেশ কয়েকজন সহকর্মীর দিকে। ওই সহকর্মীদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কলকাতার কসবা থানা খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তরুণীর পরিবারের তরফ থেকে।

ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা পুলিশকে জানিয়ে ছিলেন, তরুণী দেহে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। শ্বাসরোধ করে মারা হয়েছে তেমন কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কিন্তু মৃত্যুর আগে যে তরুণী শ্বাসকষ্ট হয়েছে সে তথ্য পুলিশের কাছে রয়েছে।

আরো পড়ুন: ১৮৮ টি বাচ্চার বাবা এই ব্যক্তি, তাদের খাওয়ার যো’গা’ন করেন কিভাবে?

তদন্ত করে পুলিশের সামনে উঠে এসেছে দুটি ওষুধের দোকানের নাম যেখানে তরুনীর বন্ধুরা দোকানের কর্মচারীদের থেকে ওষুধ চাওয়া সত্ত্বেও সেই কর্মচারীরা ওষুধ দেয় নি। কিন্তু কী কারণে ওষুধ দেওয়া হয়নি তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে তদন্ত। তবে মৃত্যুর কারণ এর আসল রহস্য আসলে কি তা নিশ্চিত করতে তরুনীর দেহের হিষ্টপাথলজিক্যাল পরীক্ষা করানো হচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণী নাম মৌমিতা দাস গুপ্ত। উত্তর 24 পরগনার ইছাপুরে তার বাড়ি। কলকাতার এক নামি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন ওই তরুণী। গত ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে 10 জন সহকর্মী মিলে বর্ষবরণের সন্ধ্যাটি পালন করছিলেন ওই তরুণী। পানাহার করার জন্য তারা কসবা কানেক্টর এর উপর নামী শপিং মলের অদূরে একটি রেস্তোরাঁয় এবং পানশালায় গিয়েছিলেন।

ওই তরুণী যে তার বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁ সামনে হাটিহাটি করেছিলেন সে ফুটেজ পাওয়া গেছে। ফুটেছে দেখতে পাওয়া গেছে, রেশমা সামনে ঘোরাঘুরি করতে করতে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে বসে পড়েন তিনি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তরুণের কয়েকজন বন্ধু পুলিশকে জানান, তরুণী অসুস্থ অবস্থায় বলতে থাকেন পানাহার করার সময় তিনি চিংড়ি মাছ খেয়ে ফেলে ছিলেন এবং চিংড়ি মাছে তার এলার্জি রয়েছে।

বন্ধুকে এই ভাবে অসুস্থ হতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে দুটি বন্ধু ওষুধ কিনতে চলে যান। কিন্তু দোকানের কর্মীরা চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওই ওষুধ দিতে রাজি হননি। ক্রমশ অসুস্থতা বাড়তে থাকায় একটি ট্যাক্সি করে ওই তরুণীকে নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা যুবতীকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেয়।

আরো পড়ুন: বিশ্ব’যু’দ্ধে যদি পরমাণু বো’মা ব্যবহার ক’রা হয় তবে এই কোথায় আ’শ্র’য় নিলে প্রা’ণ বাঁ’চ’বে?

পরিবারের লোকেরা খবর পেয়ে রাত এগারোটা নাগাদ হাসপাতালে যান। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, তরতাজা বিয়েটি সকালে অফিস যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল এবং রাতে পাওয়া গেল তার দেহ। নিশ্চয়ই শ্বাসরোধ করে মেয়েটিকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক ময়নাতদন্তে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে এমন কথা জানতে পারা যায় নি।

শ্বাসকষ্ট হয়ে তরুণের মৃত্যু হয়েছে এমনটাই বুঝতে পারা যাচ্ছে। যে গাড়ি করে তরুণীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই গাড়ি এবং চালককেও পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে এলার্জি ছিল বলে চিংড়ি খাবার পর তার এই শারীরিক কষ্ট পেয়েছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে।