গত দুই বছরে আমরা করোনার দুটি ঢেউ স্বচক্ষে দেখলাম।এবার টানা তৃতীয় ধাপের। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে অমিক্রণ আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যেই চিন্তিত চিকিৎসক মহল। উদ্বেগের মধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ডিরেক্টর ডক্টর পুনাম ক্ষেত্রপাল এই বিষয়ে বলেন কিছু কথা।
ডক্টর বলেন, এখনো মহামারী শেষ হয়ে যায়নি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেভাবে নতুন ভেরিয়েন্ট অমিক্রণ ছড়িয়ে যাচ্ছে, তাতে কিছুটা হলেও ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। তবে নতুন ভেরিয়েন্ট মানেই যে ভয়ঙ্কর রকম খারাপ দিন আসতে চলেছে সকলের জন্য সেটা নাও হতে পারে। তবে হ্যাঁ পরিস্থিতিতে আবার কিছুটা বদলে আসবে, তা স্বাভাবিক।
তিনি আরো বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ গুলি কি বেশি করে সতর্ক হতে হবে। যে সমস্ত দেশে জনসংখ্যার আধিক্য রয়েছে সেখানে আরও বেশি মানুষকে সতর্ক হতে হবে। প্রত্যেক মানুষকে দ্রুত টিকাকরণ করাতে হবে। এই নতুন ভাইরাসের কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য, যেভাবে বিশ্বে ছড়িয়ে যাচ্ছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতে আরো একবার মহামারী ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারে কিন্তু কীভাবে তা থামাতে হবে আমরা নিজেরাও জানিনা। তাই আমাদের একমাত্র কাজ সতর্ক হয়ে থাকা এবং সুরক্ষিত হয়ে থাকা।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই ভারতবর্ষে ৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মুম্বাইতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। অন্ধ্রপ্রদেশ চন্ডিগড়, মহারাষ্ট্র রাজস্থান গুজরাট কর্ণাটক এবং দিল্লিতে এই নতুন ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা। কলকাতায় এখনো পর্যন্ত একজনের শরীরে সম্ভবত পাওয়া গেছে এই নতুন ভাইরাসের সংক্রমণ।আরো একবার সুরক্ষা দিক দিয়ে আমাদের অনেক বেশি সাবধান হতে হবে বলে মনে করছেন কেন্দ্র।