সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বাসভাড়া একবারে ৫০ শতাংশ বৃ’দ্ধি পেয়েছে, জ্বালানির ধা’ক্কা’য় নাজেহাল বাংলাদেশ

আজকাল দেখা যাচ্ছে যে কম বেশি প্রায় অনেক দেশেই বিভিন্ন জিনিসের উপরই মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সরকার দেশ চালাতে অনেক জিনিসের উপরে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। ঠিক তেমনি জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে এক ধাক্কায় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পেট্রল- ডিজেলের দাম। বাংলাদেশে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে ভূর্তুকি। আর তার পরেই বাড়ানো হয়েছে পেট্রোল – ডিজেলের দাম।

প্রতি লিটারে পেট্রোলের দাম ৪৪ টাকা ও ডিজেলের দাম ৩৪ টাকা করা হয়েছে। আগে বাংলাদেশে পেট্রোলের দাম ছিল ৮৬ টাকা। সেটা বেড়ে হয়েছে ১৩০ টাকা। দাম বাড়ানো হয়েছে কেরোসিন, অকটেন, ডিজেলের ও। আগে এক লিটার ডিজেলের দাম ছিল ৮০টাকা এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ১১৪ টাকা। আগে এই হারে ওপার বাংলায় দাম বাড়েনি কখনো।

জ্বালানি তেল এর দাম বেড়েছে প্রায় ৫১ শতাংশ। শুক্রবার মাঝরাত থেকে কার্যকর হয়েছে এই নতুন দাম এর। পাশাপাশি আরও অনেক জিনিসের দাম বেড়েছে বলে জানা গেছে। এই মূল্যবৃদ্ধি সব স্তরের মানুষের ওপরই প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন অনেকেই। তাদের মতে, জিনিসপত্র ও পরিবহন খরচ আরো বৃদ্ধি পাবে এই দাম বাড়ার ফলে।

আরো পড়ুন: বিগত ৬০ বছরে বায়ুসেনার মিগ-২১ বিমান ৪০০ টি দু’র্ঘ’ট’না’র শি’কা’র, প্রাণ হারিয়েছেন ২০০ জন পাইলট

তাই তাঁরা দাম কমানোর দাবি তুলছেন। যেহেতু জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে বাসের ভাড়া বাড়ানোর জন্য দাবি করেছেন পরিবহন মালিক সমিতি। ওপার বাংলার সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ সাংবাদিকদের জানান যে – ” জ্বালানি তেলের দাম ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এতে বাস চালানোর ব্যয় বাড়ছে। তাই বাসের ভাড়াও বৃদ্ধি করা জরুরী । “। শুধু ইনী ই নন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানী, ও খনিজ প্রতিমন্ত্রি নসরুল হামিদ বলেন – ” যতদিন সম্ভব ছিল ততদিন জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়নি। অবস্থার পরিপ্রক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। ”

তিনি এও বলেন যে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জ্বালানী তেলের দাম আবার কমানোর চেষ্টা করা হবে। ২০২১ সালে আমাদের বাংলাতেও পেট্রোল সহ আরো অনেক কিছুরই দাম বৃদ্ধি করা হয়েছিল। প্রতি লিটারে দাম ১৫ টাকা ডিজেল, কেরোসিন, জ্বালানির দাম বাড়ানো হয়েছিল।

বাংলাদেশেও অনেক লোকসান হয়েছে বলে জানা যায়। তাই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দাম বেড়েছে অনেক জিনিসেরই তাই আমদানি স্বাভাবিক রাখতে দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে দেশ গুলো। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আইএমএফ্ – এর কাছে ঋণ চান এই আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি পেতে। আই এম এফ্ কিছু শর্তও দেন।

তারা বলেন গ্যাস,সার, ও বিদ্যুৎ এর ভূর্তকি কমালে তবেই তারা ঋণ দেবে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের ৫০ হাজার করি টাকা লাগে এই ৩ক্ষেত্রেই। আইএমএফ্ – এর মতে এত টাকা ভূর্তকির প্রয়োজন নেই। তাই শর্ত মেনে ৪৫০ কোটি ডলার – এর বিনিময়ে সার, ও গ্যাস প্রতি ভূর্তকি কমানো হয়েছে।