সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ধারে টিভি কিনেছিলেন বহুদিন আ’গে, জয়প্রকাশ তৃণমূলে যেতেই ফে’র নতুন করে প্র’শ্ন উঠছে টাকা কে দেবে?

জয়প্রকাশ মজুমদার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই এক অদ্ভুত আশঙ্কার ছাপ পড়েছে করিমপুরের মানুষদের মনে। করিমপুরের স্থানীয় বিজেপি কর্মী মৃগেন বিশ্বাসের আক্ষেপ মেশানো মন্তব্য, ‘‘টাকা আর পাওয়া হল না! আর দেবে কে?’’ এই কথা শুনে চায়ের দোকানে বসে থাকা এক বৃদ্ধ হেসে বললেন, ‘‘এ বার তো সুদে আসলে পাবে!’’

এই কথা শুনে যখন চায়ের দোকানে উপস্থিত সকলে হাসতে শুরু করলেন, তখন হঠাৎ এক যুবক বললেন, ‘‘তিনি যখন দলেই নেই তখন তোমার টাকা ফেরত দেওয়ারও কোনও প্রশ্ন ওঠে না। ও যাঁরা নিয়েছেন, তাঁরাই শোধ দেবেন।’’

আসলে ২০১৯ সালে করিমপুরের বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন জয়প্রকাশবাবু এবং সেই নির্বাচনের ফল দলীয় কার্যালয়ে বসে সরাসরি দেখার জন্য একটি ৩২ ইঞ্চির এলইডি টিভি কিনেছিলেন জয়প্রকাশবাবু এবং তাঁর পুত্র যশ মজুমদার।

স্থানীয় বিজেপি কর্মী মৃগেন বিশ্বাস দাবি করেন, ওই টিভির টাকা মেটানো হয়নি। টাকা দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন মৃগেনবাবু নিজেই, তাই এখন তিনি সমস্যায় পড়েছেন। টিভির দোকানে প্রায় তিন বছর ধরে বাকি রয়েছে ১৮ হাজার টাকা। যেহেতু জয়প্রকাশবাবু এখন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, তাই মৃগেনবাবুর প্রশ্ন, ‘‘ওই ঋণ এখন কে শোধ দেবে?’’

আরো পড়ুন: বাংলাদেশের রহস্যময় চা, কেজি প্রতি দা’ম মা’ত্র ১৬ কো’টি!

মৃগেনবাবু নিজেকে দায়িত্ব থেকে মুক্ত করার জন্য দলের সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁর কথা অনুযায়ী, তিনি জেলা থেকে রাজ্য স্তরের দলীয় নেতাদের বিষয়টি জানিয়ছিলেন, কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। বেশ কয়েক বার ব্যক্তিগত ভাবে জয়প্রকাশবাবুর সঙ্গেও তিনি যোগাযোগ করেছেন, কিন্তু সমস্যা মেটেনি।

মৃগেনবাবু দাবি করেন, বিধানসভা নির্বাচন শেষ হতেই দলীয় কার্যালয়ের বিভিন্ন আসবাবপত্রের সঙ্গে ওই টিভিটিও কলকাতা নিয়ে চলে গিয়েছেন জয়প্রকাশবাবু এবং তাঁর পুত্র। স্থানীয় বিজেপির দলীয় নেতাদের যুক্তি, টিভিই যখন নেই, তখন দাম দেওয়ার প্রশ্নও নেই এবং জিনিসটি দলীয় দফতরে থাকলে তাঁরা নিশ্চয়ই দাম দিতেন। এই সবকিছুর মাঝে সমস্যায় পড়েছেন মৃগেনবাবু।

জয়প্রকাশবাবু, মৃগেনবাবুর এই অভিযোগে কর্ণপাত করেননি। জয়প্রকাশবাবু বলেছেন যে, ২০১৯ সালে ভোট হয়েছিল, আর এখন ২০২২ সালে এসে এই সব কথা উঠছে তাঁর দলবদলের পর। তিনি জানান, তিনি কোনো টিভিই কেনেননি। এইসব কথা শুনে চায়ের দোকানের আড্ডায় থাকা করিমপুরের এক বৃদ্ধের মন্তব্য, ‘‘সব ঋণ শোধ দেওয়া যায় না। সব ঋণ শোধ দিতেও নেই।’’ এরপর মৃগেনবাবু বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে রাজনীতি করলেও আর কোনও দিন কোনও কিছুর মধ্যস্থতা করব না।’’