শোনা যায়, কর্তারপুরে গুরুনানক জীবনের শেষ ১৮ বছর কাটিয়েছিলেন। আগামী ১৯শে নভেম্বর গুরুনানকের জন্মদিন। সেই উপলক্ষ্যে পাকিস্তান বিদেশ মন্ত্রক বলেছেন, “আসন্ন ১৭ থেকে ২৬ নভেম্বর বাবা গুরু নানকের জন্মদিন উদযাপনে, আমরা ভারত এবং সারা বিশ্ব থেকে ভক্তদের আতিথেয়তা করার জন্য উন্মুখ।” তাই এই করিডোর খুলে দেওয়ার আবেদন করেছে পাক সরকার। তবে অনেকেই মনে করছেন, পাকিস্তানে যে সব শিখরা বসবাস করেন তাদের কাছে ভালো বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা।
দু’বছর আগে এই করিডর ‘করিডর অফ হোপ’ নামে উদ্বোধন করা হয়েছিল। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বর্ডারের দুইপাশে নিজেদের দেশে এই করিডোরের উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই করিডোরের মাধ্যমে প্রথম শিখ জাঠার উদ্বোধন করেন। এই জাঠা পাঞ্জাবের গুরদাসপুরের ডেরা বাবা নানক আন্তর্জাতিক বর্ডার থেকে ৪.৫ কিলোমিটার ভিতরে কর্তারপুর সাহিবের গুরদ্বার দরবার সাহিবে যায়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সীমান্তের অন্যদিকে এই জাঠাকে অভ্যর্থনা জানান।
করোনার কারণে ২০২০র মার্চ মাসে যখন ভারতবর্ষে লকডাউন ঘোষণা করা হয়, তখন থেকেই এতদিন পর্যন্ত কর্তারপুর সাহিব করিডর বন্ধ ছিল। এখনো পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতিতে অন্যান্য ধর্মীয় স্থান খুললেও কর্তারপুর সাহিব করিডর বন্ধ রয়েছে। তাই এবার তা খুলতে হবে বলে ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে পাক প্রশাসন। অর্থাৎ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আর কিছুদিনের মধ্যেই ভারতীয়রা সোজা চলে যেতে পারবেন পাকিস্তানে।