নূর আনতে পান্তা ফুরানো সংসার। সংসার বলতে তিনজন সন্তান এবং তিনি। স্বামী মারা গিয়েছেন আগস্ট মাসে। তিনি ছিলেন একমাত্র উপাজনক্ষম ব্যক্তি। তার মৃত্যুতে মাথার উপর নেমে এসেছে শোকের পাহাড়। এমতাবস্থায় কিভাবে চলবে সংসার দুবেলা দু মুঠো ভাত খাওয়াও যেন দুষ্কর হয়ে গিয়েছে। এক শিক্ষকের কাছ থেকে ধার চেয়েছিলেন মাত্র ৫০০ টাকা। আর তার বদলে পেলেন ৫১ লাখ। ভাবতে পারছেন কিভাবে সম্ভব এটা।
এমনই চমকপ্রদ ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের পালক্কাদে। সেখানে সুভদ্রা নামের বছর ৪০ এর এক মহিলা তিন সন্তানকে নিয়ে বাস করেন। তাদের মধ্যে একজন আবার সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত। গত আগস্ট মাসে মারা গিয়েছেন সুভদ্রার স্বামী। তারপর থেকে তিন সন্তানকে নিয়ে অথৈ জলে পড়েছেন তিনি। চরম আর্থিক কষ্টের মধ্যে পড়ে ছেলে অভিষেকের শিক্ষিকা গিরিজা হরি কুমারের কাছে ৫০০ টাকা ধার চান।
এক মাসের খাবারের জন্য এই টাকা ধার চেয়েছিলেন তিনি। ওই পরিবারের আর্থিক অবস্থা দেখে হরি কুমার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। সাধারণ মানুষের সাহায্য চান। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফান্ডিং শুরু করেন। সুভদ্রার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস দিয়ে দেন ওই শিক্ষিকা।
আর সুভদ্রার এই জীবন যুদ্ধের কথা শুনে অর্থ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন বহু মানুষ।৫১ লাখ টাকা ওঠে। ঐ শিক্ষিকা জানান একজন ছাত্রর মা তার কাছে ৫০০ টাকা ধার চেয়েছিলেন তিনি দিয়েছিলেন এক হাজার টাকা।
আরো খবর: অর্ধেক মাস যে’তে না যেতেই হাত ফাঁ’কা? বাস্তমতে এই টিপসেই জমবে টা’কা
এই পরিবারের জন্য কিছু করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর সুভদ্রা নামক ওই মহিলার বাড়িতে গিয়ে যা দেখেন স্তম্ভিত হয়ে যান। হাঁড়িতে পড়ে রয়েছে এক মুঠো চাল বাচ্চাদের খাবার জন্য কিছুই ছিল না।
সেইসব ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ার একটি আবেগঘন বার্তা দেন ঐ শিক্ষিকা। ব্যাস তারপর সেই পোস্ট মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। দুঃখী সুভদ্রা ও তার পরিবারের জন্য একটু একটু করে টাকা দিয়ে ৫১ লক্ষ টাকা ওঠে।