গণেশ পুজো শুরু হতেই শুরু হয়ে যায় উৎসবের মরসুম। গণেশ চতুর্থীর পর এবার পালিত হতে চলেছে বিশ্বকর্মা পুজো। ঋগ্বেদ অনুসারে, বিশ্বকর্মা হলেন সর্বদর্শী এবং সর্বজ্ঞ। তিনি একাই দেবতাদের প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন তাই তাকে বলা হয় দেবশিল্পী। যেকোনো কারিগরি কাজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত থাকে এই উৎসব।
পুরান মতে ব্রম্ভাপুত্র বিশ্ব কর্মা গোটা বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের নকশা তৈরি করেছিলেন।। বিশেষত শ্রমিকরা এই পূজার সঙ্গে যুক্ত থাকেন। উন্নত ভবিষ্যৎ, দক্ষতা বৃদ্ধি, নিরাপদ কাজের পরিস্থিতি এবং সর্বোপরি সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করে থাকেন তারা। বিশ্বকর্মা পুজো মানেই দূর্গাপূজোর আগাম আনন্দের পূর্বাভাস। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী বিশ্বকর্মা মূলত একই দিনে উদযাপন হয় প্রতিবছর। প্রায় প্রত্যেক বছর বিশ্বকর্মা পূজা অনুষ্ঠিত হয় ১৭ সেপ্টেম্বর।
প্রত্যেক পুজোর তিথি স্থির করা হয় চন্দ্রের গতি প্রকৃতির ওপর ভিত্তি করে কিন্তু শুধুমাত্র বিশ্বকর্মা পুজোর তিথি স্থির করা হয় সূর্যের গতি প্রকৃতির ওপর। সূর্য সিংহ রাশি থেকে কন্যা রাশিতে যখন গমন করে, ঠিক ঐ সময় দেবতারা নিদ্রা থেকে জেগে ওঠেন এবং বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন শুরু হয়।
এই বিশেষ দিনটি ভারতীয় সৌর বর্ষপঞ্জি এবং ভাদ্র মাসের শেষ দিন। ভাদ্র মাসের সংক্রান্তির আগেই পঞ্জিকাতে পাঁচটি মাসের উল্লেখ পাওয়া যায়, যার দিন সংখ্যা মোট ১৫৬ দিন। তাই বিশ্বকর্মা পূজার বাংলা তারিখটি, ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১৭ সেপ্টেম্বর পালন করা হয়। খুব কম বছরে বিশ্বকর্মা পূজা অনুষ্ঠিত হয় ১৮ সেপ্টেম্বর।
এখন বহু মানুষের বাড়িতেও বিশ্বকর্মা পুজো অনুষ্ঠিত করা হয়। যে সমস্ত বাড়িতে গাড়ি রয়েছে, সেই বাড়িতে পালন করা হয় এই পুজো। পুজোর দিন রকমারি খাওয়া-দাওয়ায় মেতে ওঠেন সকলে, এইদিন ঘুড়ি ওড়ানোর একটি আলাদাই আনন্দ থাকে।