বিরিয়ানি খেতে কার না ভালো লাগে? বিশেষত তা যদি হয় বাংলাদেশের বিখ্যাত হাজী বিরিয়ানি সংস্থার বিরিয়ানি তাহলে তো কথাই নেই! কিন্তু বিরিয়ানিতে কি মাংস ব্যবহার করা হচ্ছে, কোন পশুর মাংস খাচ্ছেন সে সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত তো? বাংলাদেশের নোয়াখালীর বাসিন্দারা কিন্তু এই বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন না। তবে সম্প্রতি ভ্রাম্যমাণ আদালতের তরফ থেকে একটি অভিযানে ধরা পড়ল ওই হাজী বিরিয়ানী হাউজে গন্ডারের পচা মাংস দিয়ে সুস্বাদু বিরিয়ানি বানানো হয়ে এসেছে এতদিন!
শনিবার রাত দশটা নাগাদ একটি অভিযান চালানো হয়েছিল নোয়াখালীতে। সেখানে অভিযান চালিয়ে হাজী বিরিয়ানী হাউজে প্রায় 100 কেজি পচা মাংস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে 70 কেজি পচা কাঁচা মাংস ছিল এবং রান্না করা মাংসের পরিমাণ ছিল 30 কেজি প্রায়। এই খবরে কার্যত নোয়াখালীর বাসিন্দাদের মাথায় হাত পড়েছে।
বাংলাদেশের নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে এদিন অভিযান চালানো হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন গোপন সূত্র থেকে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে দিন অভিযান চালানো হয়েছিল ওই বিরিয়ানি হাউজে। এতদিন হাজী বিরিয়ানী হাউজ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে এসেছে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই প্রতিষ্ঠানকে 30 হাজার টাকা জরিমানা এবং সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে যারা এতদিন ওই জনপ্রিয় বিরিয়ানি সংস্থায় বিরিয়ানি খেয়ে রসনা তৃপ্ত করে এসেছেন তারা কার্যত বেজায় আশঙ্কার মধ্যে পড়ে গিয়েছেন। তবে আদালতের এই পদক্ষেপে আরও বড় ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলেই মত তাদের।