সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এবার যোশীমঠের পাশাপাশি উত্তরকাশী-নৈনিতালও বি’প’দে’র স’ম্মু’খে, কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

ছবির মতন সুন্দর উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠের অবস্থা এখন শোচনীয়। তবে প্রকৃতি বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শুধুমাত্র এই অঞ্চলেই নয় নৈনিতাল উত্তরকাশীও দিন দিন বিপদে পর্যবসিত হচ্ছে। আসলে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়িঘর এবং পর্যটকদের জন্য অতিথি নিবাস তৈরি করবার কারণেই এমন বিপত্তি ঘটছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। ২০১৬ সালে এই সংক্রান্ত একটি পরীক্ষা চালানো হয় সেখানে দেখা গিয়েছে উত্তরাখণ্ডের পার্শ্ববর্তী এই শহরগুলির ৬০ শতাংশ এলাকা ভূমিধস প্রবণ।

সারা বছর পর্যটকদের আনাগোনা থাকে এই অঞ্চলে। সেই ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য হোটেল লজ হোমস্টে তৈরি করা হয়েছে। রয়েছে প্রচুর ধর্মশালা যেগুলি নির্মাণ করা হয়েছে কোন রকম পরিকল্পনা ছাড়াই। ওই সমীক্ষাতে জানানো হয়েছে অতি বৃষ্টির কারণে নৈনিতালে ভূমিধস হয়। ২০১২ সালের পর থেকে এই ভূমিধসের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে।

প্রাথমিকভাবে বৃষ্টির কারণে ভূমিধস হলেও বেলেগাম ঘরবাড়ি নির্মাণের ফলে ওই ভূমিধসের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত নৈনিতালে দৈনিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৩৩ মিলিমিটার। ২০১৪ সালে তা বের হয়ে গিয়েছে ৬৮ মিলিমিটার। দিন দিন ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাচ্ছে এই শহর।

আরো খবর: মারুতি সুজুকির EVX কনসেপ্ট কার, এক চা’র্জেই ছু’ট’বে ৫৫০ কি’মি

কুমায়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূত্বত্ত বিদ্যার একদল অধ্যাপক এই গবেষণা চালিয়েছেন। তারা আরও জানিয়েছেন এখন থেকেই যদি কেন্দ্র এবং রাজ্যের তরফে কোন পরিকল্পিত ও সুনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তবে অচিরে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে এই অঞ্চল গুলি।

কেন্দ্রের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে গঠিত হয়েছে একটি টিম। যেখানে উত্তরকাশী যোশীমঠ অঞ্চল গুলির উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে আরো ভালোভাবে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্র সরকারকে।