সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বেডরুম অ’ন্য দেশে! রান্নাঘর আ’রে’ক দেশে, ভারতের এই গ্রাম প্রধানের স্ত্রী র’য়ে’ছে ৬০ জন

ধরুন আপনি এমন একটা জায়গাতে থাকেন যেটা দুটো দেশের মধ্যেকার সীমান্ত তাহলে কেমন হয় একটু ভেবে দেখুন তো। কোন কষ্ট ছাড়াই আপনি যে কোন দেশেই যেতে পারবেন। এরকমই বিচিত্র ধরনের অভিজ্ঞতা যদি মুখোমুখি হতে হয় তবে আপনাকে যেতে হবে মায়ানমারের সীমান্তে ভারতের শেষ গ্রামের লংওয়াতে।

নাগাল্যান্ডের মঞ্জিলার অন্যতম গ্রাম লংওয়া। এই গোটা গ্রামটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই গ্রামে যদি আপনি যান তবে ভারত এবং মায়ানমারের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্তে গিয়ে থাকতে হবে। যে গ্রামের একদিকে ভারত তো অন্য দিকটা মায়ানমার। এই গ্রামের বাসিন্দারা ভারত এবং মায়ানমারের নাগরিকত্ব পান এমনকি এক দেশ থেকে অন্য দেশে গেলেও এদের ভিসা লাগে না।

বিশেষ করে এক দেশ থেকে যদি অন্য সীমান্তে যেতে হয় তাহলে অনেক নিষেধ থাকে তবে, এই গ্রামের ক্ষেত্রে কিন্তু এমন কোন বাধা নিষেধই নেই সুখ অনায়াসে এই গ্রামের বাসিন্দারা সীমান্ত পেরিয়ে যাতায়াত করতে পারেন। সবথেকে মজার ব্যাপার গ্রামের প্রধান যিনি, তার বাড়ির মধ্যে দিয়ে গেছে আন্তর্জাতিক সীমানা।

আরো খবর: ফাইনালের আগে ফ্রান্স শি’বি’রে হঠাৎ করেই ভা’ই’রা’স Attack! এবার কি হ’বে?

গ্রামের প্রধান যে ঘরে খান সেটি ভারতে আর যে ঘরে ঘুমান সেটি মায়ানমারে মধ্যে পড়ে। শুধুমাত্র যে গ্রামের প্রধানের ক্ষেত্রে এরকম হয়েছে তা কিন্তু নয় গ্রামের অন্যান্য বাসিন্দাদের ক্ষেত্রেও কিন্তু এই ঘটনা ঘটেছে। গ্রামের প্রধান কে অ্যাং বলা হয়। তার দায়িত্ব রয়েছে সত্তরটির বেশি গ্রামের রাজ্যপাট সামলানোর, তার স্ত্রী ৬০ জন। এই গ্রামে বিশেষ করে বাস করেন কোনিয়াক উপজাতিরা।

তবে অতীত কিন্তু এই এদের নিয়ে যথেষ্ট ইতিহাস রচনা করেছে কারণ, একটা সময় গ্রামের বাসিন্দারা এই উপজাতিকে ভীষণ ভয় পেত, কারণ জমি দখলের জন্য এরা আশেপাশের গ্রামের বাসিন্দাদের ওপর আক্রমণ করত। এবং আক্রমণ করে শিরশ্ছেদ করতো। এই উপজাতির বাসিন্দারা থাকেন পাহাড়ের ওপর যাতে তারা উপর থেকে শত্রুদের ওপর নজর রাখতে পারে।

তবে, ১৯৪০ সালে এই শিরচ্ছেদ করার প্রথাটা বন্ধ হয়ে যায়। এই উপজাতিদের বিশ্বাস ছিল যে মানুষের খুলি জমিতে রাখলে নাকি জমির ফসল ভালো হয়। সে কারণে তারা এই মাথার খুলি নিয়ে ঘর সাজাতেন, এছাড়া হাতির দাঁত দিয়েও তারা ঘর সাজাতেন। এই এলাকায় যে সমস্ত দর্শনীয় স্থানগুলি রয়েছে সেগুলি হল নাগাল্যান্ড বিজ্ঞান কেন্দ্র, হংকং মার্কেট এবং ডোয়াং নদী।