সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এক সময় ১০ হাজার টা’কার নোটের প্রচলন ছিল আমাদের দেশে, কেন বা’তি’ল করা হলো?

বর্তমানে আমাদের সকলের হাতেই রয়েছে ২০০০,১০০,৫০০,৫০,২০ টাকার নোট। আপাতত বর্তমানের সবথেকে বড় অংকের নোট হলো ২০০০। তবে এই প্রতিবেদনে আমরা যেটা বলতে চলেছি সেটা আপনাদের হয়তো অনেকেরই জানা নেই। এই প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করতে চলেছি ভারতের একটি প্রচলিত নোটের কথা। আমরা আপনাদের জানাবো ১০,০০০ টাকার নোটের সম্পর্কে।

এক সময়ে দেশে প্রচলিত ছিল ১০,০০০ টাকার নোট যদিও এই নোটের আর কোন অস্তিত্ব নেই বর্তমানে। ১৯৩৮ সালে প্রথম এই ১০,০০০ টাকার নোট ছাপা হয়েছিল। এই নোট ছাপা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে। তবে জানিয়ে রাখা ভালো যে এই নোট কিন্তু দুবার নোট বন্দি হয়েছিল ভারতে।

ভারতে এই নোট প্রচলিত হয়েছিল ১৯৩৮ সাল থেকে যার পর আট বছর পরে অর্থাৎ ১৯৪৬ সালে প্রথমবার এই নোটকে নিষিদ্ধ করা হয় এবং তার আবার আট বছর পর অর্থাৎ ১৯৫৪ সালে ফের আবার ১০,০০০ টাকার নোটকে চালু করা হয়।

আরো পড়ুন: ডেবিট কা’র্ড না ক্রেডিট কা’র্ড? কোন কা’র্ড আপনার জন্য ভা’লো?

তবে পরবর্তীকালে আবার এই নোট বাতিল হয়ে যায়। ১৯৭৮ সালে আবার নোট বন্দি হয় এই ১০,০০০ টাকার নোট। এই নোট বন্দির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই। যার পরে এই টাকা আর চালু করা হয়নি,তবে ১৯৭৮ সালে নোট বন্দিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ৫০০০ টাকার নোট এবং ১০০০০ টাকার নোট।

বিশেষত এই ১০,০০০ টাকার নোটের বাতিল করে দেওয়ার পিছনে ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। অন্যদিকে কালো টাকাকে সাদা করার উপায়। তবে এখনো পর্যন্ত কিছু কিছু মানুষের কাছেই ১০ হাজার টাকার নোট রয়েছে। বিগত কয়েক বছর আগেই জানা যায় দুবাই নিবাসী রামকুমার নামের এক ব্যক্তির কাছে পাওয়া যায় ১০,০০০ টাকার নোট।

যদিও তিনি দাবি করেন যে ২০১৫ সালে পুরনো এক নোট সংগ্রহকারী কাছ থেকে তিনি ওই নোটি সংগ্রহ করেছিলেন। তবে এই মুহূর্তে দুবাইয়ের শোরুমে রামকুমারের সংগ্রহ করা ওই ১০,০০০ টাকার নোট রেখে দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের দেখার জন্য।