সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

অর্পিতার বর্ণময় জী’ব’ন আতচকাঁচের নী’চে, কি কি করেছেন এতদিনে?

গত দুদিন ধরে সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে নেট দুনিয়া সরগরম হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক চাপাউন্তরে। আর সেখানে খুব বেশি করে যে নামটা সকলের সামনে উঠে এসেছে তা হল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তাঁর নাম জড়িয়েছে বাংলার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ২২ কোটি নগদ টাকা সহ বিদেশি মুদ্রা।

শুক্রবারের আগে পর্যন্ত তিনি সকলের কাছে পরিচয় দিতেন একজন অভিনেত্রী হিসেবে। তাঁর ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে চোখ রাখলেই দেখা যায় নানান রিল ভিডিও এবং ফটোর ছড়াছড়ি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ২০ হাজারেরও বেশি অনুরাগী রয়েছে তাঁর। তবে শুক্রবারের পর থেকে গোটা ছবিটাই কেমন পাল্টে গিয়েছে। সকলেই জানতে চাইছেন কে এই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়!

সূত্রের খবর, অর্পিতা ছিলেন বেলঘড়িয়ার দেওয়ানপাড়ার এক মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। বাবা ছিলেন সরকারি চাকুরীজীবি। তবে ছোট থেকেই তাঁর মধ্যে প্রবল উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল। বরাবর অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। সেই স্বপ্ন পূরণও হয়েছিল তাঁর। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করেছেন। অভিনয় করেছেন মামা ভাগ্নে, বাংলা বাঁচাও, পার্টনার সহ বেশ কিছু ছবিতে।

আরো পড়ুন: অর্পিতা খু’ন হয়ে যে’তে পারেন! ED-কে চি’ঠি দি’লো আইনজীবী

ছোট পর্দার সিরিয়ালেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে অর্পিতাকে। অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় ব্যানার্জী থেকে শুরু করে সাহেব ভট্টাচার্যের সঙ্গেও কিছু ছবিতে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন তিনি। কেরিয়ারের গ্রাফ ভালোমতোই এগোচ্ছিল। কিন্তু সহজে উপরে উঠতে চাইলে তো আর অপেক্ষা করতে মন চায়না কারোরই।

তাই না! ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, সবেতেই ভীষণ তাড়া ছিল তাঁর। কেরিয়ারের শুরুতে যখন তার গাড়ি ছিল না তখন ডানলপ থেকে টালিগঞ্জ আসতেন ট্যাক্সিতে করে। সিঁড়ি ব্যবহার করতে চাইতেন না কখনও, তিনি চেয়েছিলেন লিফট। অন্যদিকে দক্ষিণ কলকাতার বিজেপির বর্তমান প্রেসিডেন্ট সংঘমিত্রার পরিচালনায় ডকুমেন্ট ফিল্ম ‘বিদেহীর খোঁজে রবীন্দ্রনাথ’-এ কাজ করেছিলেন অর্পিতা।

তারপর ২০১৩-র শেষে যখন বিজেপিতে যোগদান করেন তখন থেকেই অর্পিতার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ কমতে শুরু করে বলে জানিয়েছেন সংঘমিত্রা। সোশ্যাল ওয়ার্কে খুব ইন্টারেস্ট ছিল অর্পিতার। সাজগোজের বিষয়েও ছিলেন ভীষণ শৌখিন। টবিনরোডে নিজের একটি নেল আর্ট পার্লারও রয়েছে তাঁর। বিলাসবহুল জীবনযাপনে ক্রমেই যেন অভ্যস্ত হয়ে উঠছিলেন তিনি।

আর সেই কারণেই পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরী হতে শুরু হয়। বাবার মৃত্যুর পর মায়ের কাছে সপ্তাহে ১-২ দিনের জন্যই দেখা করতে আসতেন অর্পিতা। তবে অর্পিতার এই ভয়ঙ্কর জীবন সম্পর্কে কারোরই সেরকম ধারণা ছিল বলে জানিয়েছেন তাঁর প্রতিবেশীরা। তাঁর মায়ের কথাতেও স্পষ্ট হাহুতাশের লক্ষণ। এইজন্যই হয়তো বলে, ‘সুখে থাকতে ভূতে কিলোয়”।