সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বোরিক অ্যা’সি’ড মিশ্রিত চালের গুঁড়া অথবা ময়দা খা’চ্ছে’ন না তো? এই সহজ পরীক্ষা করে নিন

মুনাফার লোভে খাদ্যসামগ্রীতে ভেজাল মিশিয়ে বিক্রি করছেন একাধিক অসাধু ব্যবসায়ী। যার ফলাফল গ্রাহকের জন্য হতে পারে মারাত্মক। নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল, ডাল, তেল থেকে শুরু করে ফলমূল-শাকসবজি সবকিছুতেই আজকাল ভেজাল মেশানো থাকে। আপনার অজান্তেই আপনার শরীরে প্রবেশ করছে বিষ।

অনেক সময় ময়দা এবং চালের গুঁড়ো মধ্যে বোরিক অ্যাসিড মেশানো থাকছে। এই বোরিক অ্যাসিড আসলে অক্সিজেন, বোরন এবং হাইড্রোজেনের সংমিশ্রণ। এর মধ্যে থাকে এন্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ। চুলকানি চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি ওষুধ প্রস্তুতিতে বোরিক অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে সেটি খাবারের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে শরীরের নানা রকম ক্ষতি হতে পারে।

বোরিক অ্যাসিড শরীরে প্রবেশ করলে তা থেকে প্রজননের সমস্যা, কিডনির ক্ষতি, লিভারের উৎসেচক বৃদ্ধি, তলপেটে ব্যথা, এলার্জি, বমি বমি ভাব, শরীরে জ্বালাপোড়ার ভাব ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। ময়দাতে অথবা চালের গুঁড়োতে বোরিক অ্যাসিড মেশানো আছে কিনা তা বুঝবেন কিভাবে? এর জন্য খুব সহজ একটি পরীক্ষা করতে পারেন বাড়িতে বসেই।

প্রথমে একটা টেস্টটিউবে 1 গ্রাম মতো ময়দা বা চালের গুঁড়ো নিন। এরপরে মধ্যে নিয়ে নিন 5 মিলিলিটার মতো জল। তারপর টেস্টটিউবটিকে ভালো ভাবে ঝাঁকিয়ে নিন। সবশেষে এর মধ্যে মেশানো কয়েক ফোঁটা কনসেনট্রেট হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড। এরপর এই মিশ্রণে একটি হলুদ পেপার স্ট্রিপ ডুবিয়ে দিন। যদি হলুদ পেপার স্ট্রিপের রং না বদলায় তাহলে বুঝতে হবে এতে কোনো ভেজাল নেই। যদি ভেজাল থাকে তাহলে হলুদ পেপার স্ট্রিপের রং বদলে হয়ে যাবে লাল।