সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

হো’টে’লে বি’দ্যু’ৎ বিচ্ছি’ন্ন বা’তিল খাবা’রের অ’র্ডা’র! ত্রিপুরা’য় গণ’তন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুল’লেন সায়নী ঘোষ

হো'টে'লে বি'দ্যু'ৎ বিচ্ছি'ন্ন বা'তিল খাবা'রের অ'র্ডা'র! ত্রিপুরা'য় গণ'তন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুল'লেন সায়নী ঘোষ

ত্রিপুরা দখলের লড়াইয়ে রীতিমতো উঠে পড়ে লেগেছে তৃণমূল। তৃণমূলের তরফে নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেকেই এখন ত্রিপুরাতে রয়েছেন। তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ ও আপাতত সেখানেই রয়েছেন। তবে ত্রিপুরাতে বিজেপির শাসনকালে গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সায়নী ঘোষ। প্রশ্ন তুলছেন বাকস্বাধীনতা নিয়েও। সায়নীর অভিযোগ, বর্তমানে তারা যে হোটেলটিতে রয়েছেন সেখানে রীতিমতো স্বৈরাচার চালাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

সায়নী দাবি করছেন, হোটেল কর্তৃপক্ষের উপর বিজেপির তরফ থেকে এমন ভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে যে সায়নীরা কোথাও ৪-৫ জন মিলে বসে আলোচনা করতে পারছেন না। এমনকি ৪-৫ জন মিলে একসঙ্গে বসে খেতে গেলেও বাধা দিচ্ছে বিজেপি। কখনো কখনো আবার খাবারের অর্ডার ক্যানসেল করে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি ওই স্বনামধন্য হোটেলের বিদ্যুৎ সংযোগও মঙ্গলবার প্রায় আড়াই ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল।

চা এবং কফি অর্ডার করে ৪-৫ জন মিলে জমায়েত হয়ে রাজনৈতিক আলোচনা চালাচ্ছিলেন সায়নীরা। তখন বিজেপির তরফের একজন চর এসে বলে যায় যে তারা এভাবে প্রকাশ্যে রাজনীতির আলোচনা করতে পারবেন না! ক্ষুব্ধ সায়নী বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ভারতীয় সংবিধানে বাকস্বাধীনতা বলে একটা কথা আছে, এখানে যে কোন ব্যক্তি যে কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক আলোচনায় অংশ নিতে পারেন তা হয়তো বিজেপির জানা নেই।

সায়নীর দাবি, হোটেল কর্তৃপক্ষের ইমেইলে রীতিমতো চাপ দিচ্ছে বিজেপি। যাতে সায়নীরা কোনো রকম রাজনৈতিক আলোচনা না চালাতে পারেন। ত্রিপুরায় যাতে তৃণমূলের কোনো সংগঠন গড়ে না ওঠে, তার জন্য লজ্জাজনক পথ অবলম্বন করছে বিজেপি। তৃণমূলের যুব নেত্রীর দাবি, বিজেপি যদি প্রকৃত অর্থেই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হত, তাহলে তারা আজ এমনটা করত না। সায়নী মনে করিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি নেতা কর্মীরা যখন বাংলায় এসে খাবার খেতে গিয়েছেন, তখনো কিন্তু তাদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করা হয়নি। তাদের মুখের খাবার ছিনিয়ে নেওয়া হয়নি।