সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আপনার কি প্রতিদিন জল কম খাওয়া হ’চ্ছে? এই লক্ষণগুলোতেই লু’কি’য়ে আছে উত্তর

হাড় কাঁপানো ঠান্ডার দিন চলে এসেছে। আর শীতকাল মানেই হিম শীতল জল। জল খেতে অনিহা তৈরি হয় সাধারণ মানুষের মধ্যে। বছরের অন্যান্য সময় তুলনায় শীতকালে আমরা জল খাওয়া কমিয়ে দিই। অনেকে আবার সারাদিন এক ফোটাও জল খান না। কিন্তু এটা করা কখনোই উচিত নয়। এতে শরীরে ডেকে আনছেন মারাত্মক ক্ষতি।

পর্যাপ্ত জলের অভাবে ডিহাইড্রেশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে শরীরে। দীর্ঘদিন ধরে জল কম খেলে তার প্রভাব পড়া শুরু করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উপর। কিন্তু আমরা অনেক ক্ষেত্রে এটা টের পাইনা। তাই অজান্তেই আমরা জীবনের চরম ক্ষতি ডেকে আনি। জল মানেই জীবন। শীতকালে জীবন্ত থাকতে গেলে বেশি করে জল খাওয়া আবশ্যক।

কিন্তু কিভাবে বুঝবেন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া হচ্ছে কিনা! বলা ভালো জল কম খেলে কোন কোন লক্ষণ ধরা দেবে? ডিহাইড্রেশন হলে শরীরের মাংসপেশি গুলিতে জল কোনোভাবেই পৌঁছতে পারেনা। এর ফলে মাঝেমধ্যেই হাত পায়ে টান লেগে যায়। হাঁটতে গেলে কিংবা একটানা বসে থেকে ওঠার সময় শরীরের পেশী গুলিতে টান লাগে।

আরো খবর: শীতের প্রথম ইনিংস শে’ষে’র পথে! ফে’র কি ক’ম’বে তাপমাত্রা?

মনে রাখবেন জল খাওয়ার পরিমান বাড়ালেই এই সমস্যা হবে না। শরীরের জল কমে গেলে লিভারের কার্যক্ষমতা কমে যেতে থাকে। জলের সঙ্গে লিভারের এক অঙ্গান্গী সম্পর্ক রয়েছে। ঠিকমতো জল খেলে শরীরে তৈরি হয়, গ্লাইকোজেন।

যা শরীরে আলাদা পুষ্টি যোগায়। কিন্তু সেটা নাহলে শরীরের বেশি শক্তির প্রয়োজন পড়বে। তাই এই সময় নোনতা স্নাক্স চকলেট বা মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। ডিহাইড্রেশন থেকেই মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হয়। এটা অনেকেই জানেন না। সারাক্ষণ মাথা ধরে থাকলে অবশ্যই এক গ্লাস জল খান দেখবেন মাথা যন্ত্রণা উধাও। শীতকালে ত্বক থাকে রুক্ষ শুষ্ক।

শরীরে যদি জলের অভাব হয় তবেই সেই ত্বকে ট্যান পড়ে যায়। ঠোঁট ফেটে যায়। ত্বক অনেকক্ষণ ধরে কুঁচকে থাকে। মনে রাখবেন ত্বক সুন্দর রাতে জল খাওয়া অত্যাবশ্বকীয়। শীতকালে অনেক সময় মুখে দুর্গন্ধ পাওয়া যায়। শরীরে জল কমে গেলে বেশি লালা তৈরি হয় না। এর ফলে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেড়ে যায়। এই দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয় তা থেকেই। তাহলে বুঝলেন তো প্রতিটি ঋতুতে জলের প্রয়োজনীয়তা!