সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

স্নাতক স্ত’রে’র পরীক্ষায় “হিন্দু বি’রো’ধী” প্রশ্ন, রো’ষে’র মু’খে বেসরকারি ইউনিভার্সিটি

গোটা দেশেই ধর্মীয় সংঘাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উত্তর প্রদেশের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ধর্মীয় সংঘাতে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠল।

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে হিন্দুত্ব বিরোধী প্রশ্ন রাখার অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন ছিল ফ্যাসিবাদের সঙ্গে হিন্দুত্ববাদের মিল আছে কিনা। এই প্রশ্নের জন্য অভিযুক্ত অধ্যাপককে সাসপেন্ড করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে।

উত্তরপ্রদেশের নয়ডাতে সারদা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষাতে এই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল। পরীক্ষার সেকশন এ বিভাগের 6 নম্বরের প্রশ্ন ছিল আপনি কি ফ্যাসিবাদ বা নাৎসীবাদের সঙ্গে হিন্দুত্ববাদের কোনো মিল খুঁজে পেয়েছেন? যুক্তিসহ লিখুন।

আরো পড়ুন: কি বিষয়ে কি বলবো? সভার আ’গে দলের নেতাদের বলছেন রাহুল! ভিডিওকে হা’তি’য়া’র করে খোঁ’চা বিজেপির

এই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। গেরুয়া শিবির এর তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে ইচ্ছাকৃতভাবে হিন্দুত্ববাদের সঙ্গে ফ্যাসিবাদ ও নাৎসিবাদের তুলনা করেছেন অধ্যাপক।

শুক্রবার এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। বিজেপি নেতা বিকাশ প্রীতম সিনহা প্রশ্নপত্রের ছবিসহ টুইট করেছেন। একজন মুসলিম শিক্ষক‌ এই প্রশ্নপত্র তৈরি করেছেন বলে দাবি করেছেন অভিনেতা।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ট্যাগ করেছেন বিজেপি নেতা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিন্দায় সরব হয়েছেন নেটিজেনরা। ওই বিশ্ববিদ্যালয়েকে ব্যান করার ট্রেন্ড শুরু হয়েছে নেট মাধ্যমে।

আরো পড়ুন: অমিত শাহকে ডিনারে ডা’কা’য় টিএমসি বিধায়কের খোঁ’চা সৌরভ গাঙ্গুলিকে

বিশ্ববিদ্যালয়ে তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে শিক্ষক এই প্রশ্ন করেছিলেন তাকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই হনুমান জয়ন্তী শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরসহ বিভিন্ন রাজ্যে অশান্তি ছড়িয়েছিল।

ঈদেও দেশের বেশ কিছু প্রান্তে উত্তেজনা ছড়ায়। আজান এবং হনুমান চালিশা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। তার মধ্যে এই পরিস্থিতিতে উত্তেজনা ছড়াল উত্তরপ্রদেশে।