সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পুরীর বাহুবলী তকমা পেয়েছেন অনিল, জগন্নাথ দেবের রথ টা’ন’তে তিনিই থাকেন সবার আ’গে, রইলো আসল পরিচয়

একেবারে বাহুবলি ছবির সেই দৃশ্য, যা এবার বাস্তবে ভেসে উঠলো। বাহুবলি ছবি আমরা সবাই দেখেছি, এস এস রাজামৌলি পরিচালিত বাহুবলি ছবির প্রথম ভাগে দেখা যাচ্ছে বাহুবলী নিজেই তার মূর্তিকে মাটি থেকে তুলে দাঁড় করাচ্ছে , দড়িতে টান দিয়ে।ঠিক এমন ভাবেই বাস্তবের বাহুবলির একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

একেবারে বাহুবলি ছবির সেই দৃশ্য, যা এবার বাস্তবে ভেসে উঠলো। বাহুবলি ছবি আমরা সবাই দেখেছি, এস এস রাজামৌলি পরিচালিত বাহুবলি ছবির প্রথম ভাগে দেখা যাচ্ছে বাহুবলী নিজেই তার মূর্তিকে মাটি থেকে তুলে দাঁড় করাচ্ছে , দড়িতে টান দিয়ে।ঠিক এমন ভাবেই বাস্তবের বাহুবলির একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

যেখানে দেখা যায় পুরীর রথের দড়ি টানতে । বিশাল মাংসপেশির যুক্ত শক্তিধর বাস্তবের বাহুবলী, পুরীর রথের দড়িতে টান দিতেই গড়গড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছে রথ, আর বাস্তবের এই দৃশ্য দেখে অভিভূত হয় সবাই।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবি, যা নিমিষের মধ্যেই বিখ্যাত করে দেয় পুরীর সেবায়েত অনিল গোচিকারকে, বয়স তার ৪৩ বছর। সেই দৃশ্য দারুণভাবে আকর্ষিত করে সাধারণ মানুষকে, সেই সেবায়েতের মাঝেই খুঁজে পায় মানুষ ছবির বাহুবলিকে, আর ঠিক তারপর থেকেই সেই সেবায়েত হয়ে ওঠেন পুরীর বাহুবলী।

তিনি প্রথম থেকেই জগন্নাথ মন্দির এর সাথে যুক্ত, কারণ তিনি পুরীর জগন্নাথ দেবের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী। সম্প্রতি তিনি হয়তো জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, কিন্তু তাঁর এই কঠোর পরিশ্রম ও শরীরচর্চা চলে আসছে বহুদিন থেকেই। শুধু অনিল নয়, তাদের সমস্ত পরিবারই দীর্ঘদিন ধরেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়েত।

জানা গিয়েছে,বহু প্রজন্ম থেকেই তারা পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়েত ও দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করছে। এরা মন্দিরের ভিতরে থেকে দেবতার সেবা করেন, তাই এদের বলা হয় প্রতিহারী।

আরো পড়ুন: মানুষের মূ’ত্র দিয়ে প্রাচীন কা’লে কি ক’রা হতো? রোমানদের কথা শুনলে আঁ’ত’কে উঠবেন

অনিল কে শুধু দেবতার দেহরক্ষী বললেই বলা হবে না, কারণ তিনি একজন পেশাদার বডিবিল্ডার। ন্যাশনাল ও্য ইন্টারন্যাশনাল বডিবিল্ডিং চ্যাম্পিয়নও। সাত বার ‘মিস্টার ওড়িশা’-র খেতাব পেয়েছেন। ২০১২ সালে মিস্টার ইন্ডিয়া হন অনিল।

তারপর ২০১৪ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ এবং ২০১৬ সালে দুবাইয়ে আয়োজিত আন্তর্জাতিক দেহসৌষ্ঠব প্রতিযোগিতায় সোনা জিতেছিলেন অনিল।

আরো পড়ুন: উঠে পড়ুন বাসে, এবার ৭০ দিনে ১৮ দেশ ঘু’রে দিল্লি থেকে পৌঁ’ছা’ন লন্ডন

পুরীর জগন্নাথদেবের বডিগার্ড থাকতে হলে, হৃষ্টপুষ্ট বডি বিল্ডার হতে হবে এর কোন মানে নেই , সাধারণ হলেও বডিগার্ড হওয়া সম্ভব।তবে অনিল বডি বিল্ডিং করার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন তার নিজের দাদার কাছ থেকে। তার দাদা আখড়ায় মুগুর ভাজতেন, আর সেই থেকেই অনুপ্রেরণা নিয়ে গত ১০ বছর থেকে তিনি শরীরীচর্চা করছেন। অতিমারীর সময় পুরীর জগন্নাথ দেবের রথের দড়িতে টান দিয়ে তিনি এখন পুরীর বাহুবলী।