আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয় ইহলোকের সমস্তকিছুই ওষুধ, তবে সেটা ব্যবহার করতে জানতে হবে। সঠিক পরিমাপ অনুযায়ী ব্যবহার করাটাই আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের প্রধান সূত্র। আমরা সকলেই গো মূত্র ব্যবহার করার কথা শুনেছি। এমনকি মানুষের মূত্র পানের উপকারিতাও শুনেছি, তবে তাই বলে মূত্র দিয়ে দাঁত মাজবে মানুষ? কথাটা শুনেই কেমন যেন শরীরটা ঘিন ঘিন করে উঠল। এটাও কি সম্ভব? আজ্ঞে হ্যাঁ পৃথিবীতে অনেক মানুষ অনেক ধরনের হয়ে থাকে।
সেই সূত্র ধরেই প্রাচীন রোমানরা এই কাজ করে এসেছে, এবং দারুণ উপকৃত হয়েছে তারা। মানুষের মুত্রকে দাঁতন হিসেবে ব্যবহার করতো তারা, শুধু তাই নয় লন্ড্রিতে ব্যবহার করা হতো মানুষের মূত্র। প্রাচীন রোমানরা মানুষের মূত্রকে মাউথ ওয়াশ কিংবা টুথপেস্ট এর জায়গায় রেখেছিল।
সেইকালে মূত্রের বিভিন্ন পর্যায় হত, কোন মূত্র কেমন? সেই নিয়েও চলত বিচার-বিবেচনা। পর্তুগিজ মূত্র ছিল সবচেয়ে দামি ও বেশি কার্যকরী। ভালো জিনিসের কদর তো সর্বদা, তাই চাহিদাও ছিল দারুণ। মানুষের মুত্র দাঁতকে মজবুত ও চকচকে করে তুলতে সক্ষম।
আরো পড়ুন: উঠে পড়ুন বাসে, এবার ৭০ দিনে ১৮ দেশ ঘু’রে দিল্লি থেকে পৌঁ’ছা’ন লন্ডন
দাঁত মাজার সাথে সাথে তখনকার দিনে লন্ড্রিতে ব্যবহার করা হতো মানুষের মত। মনে রাখতে হবে তখনকার দিনে তো, এখনকার মতো বিভিন্ন ধরনের ডিটারজেন্ট পাউডার তৈরি হয়নি। কিন্তু জামাকাপড় তো নোংরা হতো ঠিক এখনকার মতই, তাহলে এখন উপায়? সেই উপায় খুঁজে পেয়েছিল তখনকার দিনের মানুষ।
তারা লক্ষ্য করেছিল মানুষের মূত্রের সংস্পর্শে এলেই জামাকাপড় চকচকে হয়ে ওঠে। দেখামাত্রই কাজ শুরু, বিভিন্ন জায়গায় শুরু হল মূত্র সংগ্রহ, দাঁত হোক কিংবা লন্ড্রির কাজে সব জায়গাতেই মূত্রের ব্যবহার চলতে থাকলো সেই আমলে।
আরো পড়ুন: নতুন স’ম্প’র্কে ঢু’ক’তে চাইছেন হৃত্বিক, এবার এই অভিনেত্রী নিজেই দিলেন বি’য়ে’র প্রস্তাব
এতে যেমন দাঁত ও লন্ড্রির জামা কাপড় পরিষ্কার হত, ঠিক তেমনভাবেই পরিষ্কার থাকতো আশেপাশের পরিবেশ। নিয়ম করে রাস্তার আশেপাশে রাখা হতো মাটির পাত্র। সেখানেই নগরবাসীরা মুত্র ত্যাগ করতো,নির্দিষ্ট সময় পর সেই মূত্র সংগ্রহ করেই সমস্ত কাজে ব্যবহার করা হতো।
তবে বিজ্ঞান কি বলছে? কেন জামা কাপড় পরিষ্কার হত মানুষের মূত্রের মাধ্যমে? আসলে মূত্রে থাকে এমোনিয়া, যা কিনা বর্তমান বেশিরভাগ ক্লিনারে ব্যবহার করা হয়। আর ঠিক সেই সময়ে প্রাকৃতিক অ্যামোনিয়ার ব্যবহার করেই নিজেদের দাঁত ও জামাকাপড় ঝাঁ-চকচকে করে তুলতো প্রাচীন রোমানরা।