প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জট যেন কিছুতেই খুলতে চাইছে না। যতই গভীরে যাওয়া যায় ততই যেন বাড়ছে রহস্য। দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা। প্রাথমিকে শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষা নয় মৌখিক পরীক্ষা প্রচুর পরিমাণে গরমিল হওয়া ধরা পড়েছে। মঙ্গলবার আদালতেই ১৫৯ জন চাকরি প্রার্থী দাবি করেন লিখিত পরীক্ষার শূন্য পেয়েছেন অথচ মৌখিক পরীক্ষায় পুরো নম্বর পেয়ে তারা চাকরিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
এটা বেআইনি বলেও আদালতের কাছে দাবি করেন তারা। মামলা কারীদের মৌখিক পরীক্ষা ও অ্যাপটিটিউট টেস্টের নম্বর প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে মামলাকারীরা দাবি করেন ২০১৪ প্রাথমিক চার্টের ভিত্তিতে যারা নিযুক্ত হয়েছেন তাদের অনেকেই লিখিত পরীক্ষায় শূন্য পেয়েছেন আবার মৌখিক পরীক্ষায় তাদের পুরো নম্বর দেওয়া হয়।
মৌখিক পরীক্ষায় পাশ করবার জন্য তারা চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। এদিকে যেন মামলা করেছেন তারা লিখিত পরীক্ষায় অনেকেই ভালো নম্বর পেয়েছেন তারা কোন নিয়োগ পাননি। মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা তরুণ জ্যোতি তিওয়ারি জানিয়েছেন এই যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে ৩০ হাজার জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।
আরো খবর: সিনেমা ও সিরিয়ালের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কি শ্রেণী দি’য়ে ভা’গ ক’রা যায়? প্রশ্ন করলেন তৃনা
আদালতের কাছে মামলাকারীরা প্রশ্ন করেন কিভাবে লিখিত পরীক্ষায় শূন্য পাওয়া ব্যক্তিরা মৌখিক এত নম্বর পেলেন! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন মামলাকারীদের প্রত্যেকের মৌখিক পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ করতে হবে। শুনানি হবে আগামী ১০ ই জানুয়ারি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে OMR শীটের নম্বর বদল নিয়ে একাধিক কারচুপির কথা সামনে এসেছে।
এবার সামনে এলো মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে এক বড়সড়ো দুর্নীতির অভিযোগ। এখন অভিযোগকারীদের কথার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে সমস্ত প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নম্বর প্রকাশ করতে আদালত নির্দেশ দিতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে।
