সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

র’হ’স্য’ম’য় মন্দির, একশিলা শিখা নে’ভা’নো’র জন্য স্বয়ং আকবর অনেক চে’ষ্টা করেছিলেন!

হিমাচল প্রদেশের অব হিমালয় অঞ্চলে অবস্থিত সতীপীঠের অন্যপীঠ শক্তিপীঠ। হিমাচলের কাংরা জেলার কালিধর পাহাড়ে নাকি সতীর জিভ এসে পড়েছিল। তারপর সেখানে গড়ে ওঠে জাতাওয়ালি মায়ের মন্দির। এই মন্দিরের হদিশ পেয়েছিলেন পাণ্ডবরা। এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে অনেক আকর্ষণীয় গল্প রয়েছে যা জানলে গায়ে কাঁটা দেয়।

জ্বালা দেবীর মন্দিরে নটি সদা জ্বলন্ত অগ্নিশিখা রয়েছে। এই অগ্নিশিখা গুলোই নাকি আর পাঁচটা শক্তিপিঠের থেকে এই শক্তিপিঠকে আলাদা করে দেয়। এটি হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র স্থান। প্রতিবছর হাজার হাজার তীর্থযাত্রী এখানে মন্দিরে দেবীর মূর্তি দর্শন করতে আসেন। এর মধ্যে রয়েছে নটি অগ্নিকুণ্ড‌ যার আগুন কখনো নেভে না।

এই অগ্নিকুণ্ড আসলে প্রাকৃতিক গ্যাসের কারণে জ্বলে। এখানে অনবরত প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ হয়ে থাকে। মন্দির প্রাঙ্গণে কয়েকশো বছর ধরে জ্বলছে এই অগ্নিশিখা। শোনা যায় সম্রাট আকবর নাকি মন্দিরের ভেতরের অগ্নিশিখা নির্বাপনের জন্য অনেক প্রচেষ্টা করেছিলেন। তবে তার সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

আরো পড়ুন: 32 ইঞ্চির স্মার্টটিভি বি’ক্রি হচ্ছে ৪০০০ টাকার ক’মে, সু’যো’গ হাতছা’ড়া করবেন না

শোনা যায় ব্রিটিশরা নাকি মাটি থেকে নির্গত প্রাকৃতিক গ্যাসের শিখা ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেই চেষ্টায় তারা ব্যর্থ হয়। সম্রাট আকবর সন্দেহের বশে মন্দিরের আগুনের উপর জল ঢেলে আগুন নির্বাপনের নির্দেশ দেন। তাতেও কাজ না দেওয়াতে মন্দির সংলগ্ন খালের মুখ ঘুরিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।

অবশেষে তিনি এই অলৌকিকতায় মুগ্ধ হন এবং দেবীর উদ্দেশ্যে সোনার ছাতা নিবেদন করেন। তবে দেবী তা গ্রহণ করেননি। ওই ছাতা পড়ে গিয়ে সাধারণ ধাতুতে পরিণত হয়। সেই ধাতুর পরিচয় জানা যায়নি।