সকালে ঘুম থেকে উঠে চা না খেলে গোটা দিনটাই যেন ভালো যায় না। মিষ্টি গন্ধ যুক্ত সুস্বাদু চা শরীরে যেন তাজা এনার্জি নিয়ে আসে। কিন্তু এই চা তৈরি করার পর অনেকেই পাত্রে জমে থাকা চা পাতা ফেলে দেন ডাস্টবিনে।
আবার অনেকে এই চা গাছের সারেও কাজে লাগান। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্য চিনি ছাড়া চা পাতা হতে হবে। কারণ চিনি গাছের ক্ষতি করে। এছাড়াও চা পাতার কিন্তু অনেক গুণ আছে, তা জানেন কি আপনারা!
১) যেহেতু চায়ের পাতায় অ্যান্টি অ্যাক্সিডেন্ট রয়েছে তাই শরীরের যে কোনো আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে চা পাতা সিদ্ধ লাগিয়ে দিলে তৎক্ষণাৎ দেখবেন আরাম পেতে পারেন।
আরো পড়ুন: শক্তি বৃ’দ্ধি করে ধে’য়ে আ’স’ছে “অশনি”, দেখুন লাইভ অবস্থান
২) ব্রণর সমস্যা রয়েছে আপনার? তাহলে বেশি কিছু না করে ব্যবহার হওয়া চা কিছুক্ষণ পরিষ্কার জলে ভিজিয়ে রেখে সেই জলে তুলো ভিজিয়ে মুখ মুছে নিন। সপ্তাহে অন্তত তিনদিন নিয়ম মেনে করলেই ম্যাজিক দেখতে পাবেন।
৩) সারাদিন কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করতে হয়? চোখের তো তাহলে দফারফা! এইসব কিছু থেকে চোখকে আরাম দিতে, চোখের ক্লান্তি দূর করতে প্রথমে সিদ্ধ হওয়া চা পাতা ভালো করে ঠান্ডা করে নিন। একটা পরিষ্কার কাপড়ে ব্যবহার হওয়া চা পাতা নিয়ে চোখে হালকা করে ঠান্ডা সেঁক দিতে পারেন।
৪) কাঠের আসবাবপত্র দীর্ঘদিন মজবুত রাখার ক্ষেত্রেও চা পাতার ভূমিকা রয়েছে। ব্যবহার হওয়া চায়ের পাতাকে ফের সিদ্ধ করলে যে লিকারটি তৈরি হয় তা দিয়ে আসবাবপত্র নিয়মিত মুছলে তা চকচকে তো থাকবেই, সেই সাথে বেশিদিন টিকবেও।
৫) জুতোয় দুর্গন্ধ হওয়া খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা। এর থেকেও নিস্তার পেতে পারেন খুব সহজেই। গ্রিন টি-এর পাতা একটি পাতলা কাপড়ের মধ্যে পুরে জুতোর ভিতরে টানা ২৪ ঘণ্টা রেখে দিন।
দেখবেন জুতোর দুর্গন্ধ দূর হয়ে গেছে। এমনকি ফ্রিজের ভিতরে দুর্গন্ধ হলেও একটি ছোট পাত্রে ব্যবহার হওয়া চা পাতা রেখে ফ্রিজে মধ্যে রাখুন। দেখবেন ফ্রিজ ফ্রেশ থাকবে আর কোনো দুর্গন্ধও থাকবে না।