সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আদানি গোষ্ঠীর শে’য়া’রে ব্যা’প’ক ধস! শিরোনামে গৌতম আদানির স্ত্রী, কিভাবে ব্যবসা বৃ’দ্ধি করেছিলেন?

কথাতেই আছে প্রত্যেক সফল পুরুষের পাশে একজন নারীর অবদান থাকে। সফল ব্যবসায়ী হোক অথবা সফল চাকুরীজীবী, সফল পুরুষ মাত্রই একজন নারীর অবদান থাকবেই সেখানে। তেমনই একজন পুরুষের গৌতম আদানি যার জীবনের সফলতার পেছনে রয়েছেন তার স্ত্রী প্রীতি আদানি। স্বামীর জন্য নিজের ক্যারিয়ার বিসর্জন দিয়ে স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি।

দেখাশোনা করেই বিয়ে হয়েছিল গৌতম এবং প্রীতির। যদিও প্রথম থেকেই দুজনের মধ্যে একটু দূরত্ব ছিল। গৌতম ছিলেন একটু লাজুক প্রকৃতির। এক বার তিনি বলেছিলেন, আমি ছিলাম অশিক্ষিত এবং প্রীতি ছিল চিকিৎসক। স্বাভাবিকভাবেই ওর সাথে মানিয়ে নিতে সময় লেগেছে। যদিও গৌতম আদানি সর্বদা স্ত্রীর প্রশংসা করতেই ভালোবাসেন।

প্রীতির জন্ম ১৯৬৫ সালে মুম্বাইয়ের একজন গুজরাটি পরিবারে। আমেদাবাদ ডেন্টাল কলেজ থেকে প্রীতি ডেন্টাল সার্জারি নিয়ে পাস করেছিলেন। এতটাও পড়াশোনা করে তিনি কখনো নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবেননি।

আরো খবর: কমদা’মে মিলবে আটা, কেন্দ্রের নয়া ঘোষণায় স্ব’স্তি পাবেন আম জনতারা

সংসারের কাজে ব্যস্ত ছিলেন চিরকাল। সামলে নেওয়ার পর ১৯৯৬ সালে আদানি ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন হন তিনি। প্রীতির নেতৃত্বে ফাউন্ডেশনের যে বড় উন্নতি হয়েছিল সে কথা বারবার স্বীকার করেছেন গৌতম আদানী।

এক সাক্ষাৎকার গৌতম আদানী বলেছিলেন, আমার জীবনের অনেক বড় স্তম্ভ আমার স্ত্রী। আমার সন্তান এবং পরিবারের সকলের খেয়াল রাখে ও। খুব সুন্দর করে আমার পরিবারকে ধরে রেখেছে প্রীতি। একই সঙ্গে আদানি ফাউন্ডেশন এর কাজও সামলাচ্ছে।

নিজের ক্যারিয়ার ছেড়ে আমার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল তাই ওর নেতৃত্বে এত বড় ব্যবসা দাঁড়িয়েছে। মাত্র দুই জন কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করেছিল আদানি ফাউন্ডেশন। আজ বছরে ৩২ লক্ষ মানুষকে এই ফাউন্ডেশন কাজ দিচ্ছে।

প্রীতি আদানি পরিবারের জন্য কতটা ভাগ্যশালী তা প্রমাণ হয়ে যায় ২০১৮-২০১৯ সালে। প্রীতির নেতৃত্বে এক আর্থিক বছরে এই গোষ্ঠীর কর্পোরেট সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটির বাজেট ছুঁয়ে গিয়েছিল ১২৮ কোটি টাকা।