সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

একসময় ৭ বছর কথা হয়নি আমির ও জুহির, এই একটি ঘটনায় স’ম্প’র্কে’র অ’ব’ন’তি হয়েছিল দুই সুপারস্টারের মধ্যে

বলিউডের চিত্রটা একসময় এমন ছিল যে ‘তিন খান’ যেন রাজ করতেন সেখানে। অবশ্য সেই চিত্রের বদল ঘটেছে এখন। আজকের প্রতিবেদন এক খানকে কেন্দ্র করে যিনি খানিকটা হলেও নিজেকে সেই আগের স্থানে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি আর কেউ নন, আমির খান। নব্বইয়ের দশকে এই দুষ্টুমিষ্টি অভিনেতা বলিউড ইন্ডাস্ট্রিকে একেবারে মাতিয়ে রাখত। যদিও বর্তমানে এক  অভিনেতা হিসেবে তাঁর নামডাক।

অন্যদিকে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় সুন্দরী অভিনেত্রী হলেন জুহি চাওলা। জুহি চাওলা তাঁর মিষ্টি হাসিতেই জয় করেছিলেন হাজার হাজার দর্শকদের মন। বর্তমানেও তাঁর রূপের ঔজ্জ্বল্য কিছুমাত্র কমেনি। তাঁর সেই মনোমুগ্ধকর হাসি আজও একইরকম রয়ে গেছে। আমির খান এবং জুহি চাওলা এক সময়ের বাম্পার জুটি। পর্দায় তাদের কেমিস্ট্রি দর্শকরা খুবই পছন্দ করতেন।  কিন্তু একটা সময় তাঁদের মধ্যেকার সম্পর্কের এতটাই অবনতি হয়েছিল যে তাঁরা টানা ৭ বছর কথা বলেননি একে অপরের সাথে।

আমির খান এ বিষয়ে বলেছিলেন যে ‘ইশক’ -এর শ্যুটিং চলাকালীন একটি ছোট বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। “এটি একটি ছোট ঘটনা ছিল, কিন্তু আমি মনে করি আমি তখন একটু অহংকারী ছিলাম। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমি তার সাথে আর কথা বলব না।” তিনি একথাও বলেছিলেন যে সেটেও তিনি জুহির থেকে দূরত্ব বজায় রাখতেন। অবশ্য কেন তিনি এমন আচরণ করেছিলেন তা তিনি নিজেও জানেন না।

অভিনেতা আরও বলেছেন, “এমনকি যখন তিনি এসে আমার পাশে বসতেন, আমি বেরিয়ে যেতাম। আমি গিয়ে তার থেকে অন্তত ৫০ ফুট দূরে বসে থাকতাম (হাসি)। আমি কখনোই তাকে শুভেচ্ছা বা বিদায় জানাইনি। শুধুমাত্র দৃশ্যের সময়, যদি আমাদের কথা বলার প্রয়োজন হয়, আমি তার সাথে কথা বলতাম। তবে এটি কেবল পেশাদার ছিল।”

অভিনেতা বলেন, “2002 সালে রীনা দত্তের সাথে যখন আমার বিবাহবিচ্ছেদ হয় তখন আমাদের মধ্যে প্যাচআপ হয়েছিল। আমরা ছয়-সাত বছর একে অপরের সাথে কথা বলিনি। কিন্তু জুহি যখন রিনার সাথে আমার বিবাহবিচ্ছেদের খবর জানতে পারে তখনই আমাকে ফোন করেছিল এবং দেখা করতে বলেছিল। জুহির রীনা এবং আমার উভয়ের সাথেই খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং সে আমাদের মধ্যেকার সমস্যাগুলির সমাধান করতে চেয়েছিল। জুহি জানত যে আমি হয়তো তার ফোন ধরতে পারব না, তবুও সে আমাকে ফোন করেছিল। আর এখানেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমাদের বন্ধুত্ব এতটুকুও নষ্ট হয়নি। আমরা হয়তো একে অপরের সাথে বহু দিন কথা বলিনি ঠিকই কিন্তু একে অপরের যত্ন নেওয়ার দিকে খেয়াল রেখেছিলাম।”