ধর্ম অবমাননার দায়ে পাকিস্তানের একটি আট বছর বয়সী হিন্দু ছেলেকে দেওয়া হতে পারে মৃত্যুদণ্ড! এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তাল হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক মহল। অভিযুক্ত ওই ছোট্ট শিশুটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে নাকি মুসলিম ধর্মের অবমাননা করেছে। আর এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ছোট্ট ওই শিশুর প্রাণ কেড়ে নিতেও দ্বিধা করবেনা মৌলবাদীদের রাষ্ট্র পাকিস্তান। এই মামলাটি সম্প্রতি আদালতে উঠেছে।
ওই শিশুটির পরিবারের দাবি শিশুটিকে ইচ্ছে করে ফাঁসানো হয়েছে। ধর্ম অবমাননা কি সে সম্পর্কে যার কোনো বোধই নেই, তার বিরুদ্ধে এমন মামলার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যেই জেল হেফাজতে চলে গিয়েছে সে। বিগত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে জেলেই বন্দি রয়েছে ওই শিশুটির।
শিশুটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত মাসে সে নাকি ইচ্ছে করেই একটি মাদ্রাসার লাইব্রেরির কার্পেটে প্রসাব করে দিয়েছে! ওই মাদ্রাসায় ধার্মিক পুস্তক থাকত বলে দাবি করা হয়েছে। আর এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ছোট্ট ওই শিশু আজ প্রাণ সঙ্কটের মুখে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের ধর্ম অবমাননার শাস্তি স্বরূপ মৃত্যুদণ্ডের নিদান রয়েছে। অতএব শিশুদের বিরুদ্ধে এখনো সেই মামলা উঠবে কিনা সেটাই এখন দেখার।
ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানের একটি সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ওই শিশুটির বাবা-মা জানিয়েছেন, শিশুটিকে ইচ্ছে করে ফাঁসানো হয়েছে। আট বছরের ঐ শিশুটি জানেই না তার অপরাধ কি! ওই শিশুটির আত্মীয়দের অবস্থা আরো শোচনীয়। তারা তাদের কাজ এবং ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন। মৌলবাদীরা তাদের উপর বদলা নিতে আগ্রহী। সম্পূর্ণ হিন্দু মহলে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
