পাহাড়ের ছোট ছোট গ্রামে, অফবিট জায়গায়, শান্ত প্রকৃতির কোলে ঘুরে বেড়াতে ভালবাসেনা এইরকম লোক খুঁজে পাওয়া ভার। আর সেই গ্রাম যদি হয় অন্যগুলোর থেকে একেবারে আলাদা তাহলে তো সোনায় সোহাগা।
মেঘালয়ের পাহাড়ের কোলে ছোট্ট কংথং গ্রামটি ঠিক এরকমই।দেখলে মনে হয় কেউ যেনো ছবি এঁকে দিয়েছে। আর এই গ্রামের এক প্রাচীন ঐতিহ্য অন্য গ্রাম থেকে আলাদা করেছে একে।
এই গ্রামটিকে ভারতের সবচেয়ে আকর্ষণীয় গ্রাম গুলির মধ্যে একটি বললে কিছু ভুল বলা হবে না। মেঘালয়ের রাজধানী শিলং থেকে প্রায় 60 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্রামটি।কংথং গ্রামটি মেঘালয়ের পূর্ব খাসি পাহাড়ে প্রায় 650 জন ব্যক্তি নিয়ে গঠিত একটি ছোট্ট গ্রাম।
আরো খবর: জোশীমঠের অবস্থা আ’রো খা’রা’প হতে চলেছে আগামী বর্ষাতেই, আ’শ’ঙ্কা প্র’কা’শ ভূতত্ত্ববিদদের
কংথং গ্রামে, যখন একটি শিশু জন্মগ্রহণ করে, তার মা শিশুর জন্য একটি অনন্য সুর নিয়ে আসে। সে যত দিন বেঁচে থাকেন ততদিন ওই সুর থাকে তার সঙ্গে। এটিই তার নাম।এই অদ্ভূত প্রথার কারণেই এই গ্রামের আরেক নাম ‘হুইসলিং ভিলেজ’।গ্রামের বাসিন্দারা একে অপরকে সুরের মাধ্যমেই ডেকে থাকে।
এই সুন্দর ঐতিহ্যটিকে বলা হয় জিংরওয়াই লবেই, যার অর্থ, বংশের প্রথম মহিলার গান। শুধুমাত্র মায়েরাই তাদের সন্তানদের এই অনন্য নাম দিতে পারেন। প্রকৃতপক্ষে, এই ঐতিহ্য তাদের একে অপরের সাথে পাহাড়ি এলাকায় দীর্ঘ দূরত্বে যোগাযোগ করতে সাহায্য করে।