কোভিড পরবর্তী পরিবেশে চিনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে অনেকদিন ধরেই। চীনের কভিড পরিস্থিতির জন্য মাঝে মাঝেই চীনের অধিকাংশ জায়গায় লকডাউন ঘোষণা করা হচ্ছে ফলে অন্য দেশের টেকনিক্যাল সংস্থা গুলি যারা চিনে নিজেদের সংস্থার জিনিসপত্র বানায় তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর তাঁর উপর ইউক্রেন ও তাইওয়ানের এই যুদ্ধ পরিস্থিতি চীনের ওপর সকল টেকনো সংস্থাগুলোর ভরসা কমতে থাকে। তাঁরা আর চীনের ওপর নির্ভরশীল হতে পারছেনা। অ্যাপল কোম্পানিতো ভারতে অলরেডী তাঁদের আইফোন উৎপাদন করতে চলেছেন।
আর সেই কাজেই টিম কুকের সংস্থাকে সাহায্য করবে টাটারা। তবে এবার মার্কিন আইফোন সংস্থাও চিন থেকে তাদের বরাত তুলে নিয়ে অন্য দেশকে দিতে চলেছে। জানা যাচ্ছে ভারত এই আইফোন বানানোর বরাত পেতে পারে। ওই মার্কিন সংস্থা ভারতের কথাই ভাবছে। আর ভারত এই সুযোগ পেলে ভারতের জন্য একটি বড়ো সুযোগ হতে চলেছে বলে মনে করছে ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা।
তবে নতুন খবর এই যে, শোনা যাচ্ছে রতন টাটার টাটা গ্রুপ এই বরাত পাওয়ার চেষ্টা করছেন। আইফোন তৈরির এই চুক্তি যদিও এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে এই নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে টাটাদের সঙ্গে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টে এই তথ্যই জানানো হয়েছে যে ভারত উইস্ট্রন -এর মালিকানা কেনার কথা ভাবছে টাটারা। এর পরে নতুন কারখানা নির্মাণ হতে পারে, রিপোর্টে এমনটাই জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন: এবার কি রান্নাঘর থে’কে বা’দ পড়বেন সুদীপা? যা বললেন অভিনেত্রী
ভারত জুড়ে ব্যাবসা করছেন টাটা গ্রুপ। তাঁদের নুন থেকে গাড়ি, সফটওয়্যার প্রায় সব কিছুই বিক্রি করে টাটারা এদেশে। তবে এবার জানা যাচ্ছে ফোন উৎপাদনের ব্যবহার হাতেখড়ি হতে পারে ভারতীয় সংস্থাটির। এই জন্য উইসট্রন কর্প. নামে একটি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করছে টাটা গোষ্ঠী। বিদেশ থেকে আসা যন্ত্রাংশ অ্যাসেম্বল করে এদেশে আইফোন অ্যাসেম্বল করা হবে।
যদিও সবটাই এখনও একটা আলোচনার পর্বে রয়েছে তাও মনে করা হচ্ছে যদি আইফোন উৎপাদনের জন্য ভারতকে মার্কিন সংস্থা গ্র্যান্ড করে তবে টাটা গ্রুপ ই পেতে চলেছে তাঁর প্রথম বরাত। শুধু তাই নয় এই উৎপাদনের সাহায্যের জন্য তাইওয়ানের এই সংস্থাটির কাছ থেকে প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, সাপ্লাই চেন ও অ্যাসেম্বলি সম্পর্কে সাহায্য নিতে পারে টাটারা।
টাটারা এই বরাত পেলে উৎপাদন ক্ষেত্রে চিনকে একটা বড়সড় টেক্কা দেওয়ার পথে বড় পদক্ষেপ হবে ভারতের। বিগত কয়েক দশক ধরেই বিশ্বব্যাপী সমস্ত টেকনিক্যাল উৎপাদনের হাব হয়ে উঠেছে চিন। Apple -এর মতো সংস্থা ভারতে অ্যাসেম্বলি লাই তৈরির সিদ্ধান্ত নিলে তা দেখে অন্যান্য টেক সংস্থাগুলিও অনুপ্রাণিত হতে পারে। যা ভারতের জন্য খুবই শুভ ফলদায়ক হতে চলেছে।