বিয়ের প্রায় এক বছর অতিক্রান্ত হয়ে যাবার পর এমন একটি খবর জানাজানি হয়ে গেল প্রত্যেক মানুষের মাথায় হাত পড়ে যায়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে তুমুল ভাইরাল হয়েছে এমন একটি আজব ঘটনা যা শুনে রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে। আশ্চর্য এই ঘটনায় ইন্দোনেশিয়ার এক মহিলার বিবাহে 10 মাস পরে বুঝতে পেরেছেন তার স্বামী আসলে কোনো পুরুষ মানুষ নন।
খবরটি সোশ্যাল মিডিয়াতে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে গেছে। ঠিকই হয়েছে চলুন জেনে নেওয়া যাক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া এই ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোনেশিয়াতে। একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে এক মহিলার সঙ্গে এক যুবকের পরিচয় ঘটে। তারপর হঠাৎ ওই যুবক যুবতীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।
যুবকটি মেয়েটিকে গোপনে বিয়ে করতে চান কারণ হিসাবে যুবকটি বলেছিলেন, তিনি বহুদিনের ইচ্ছা পূরণ করতে চান। যুবকের কথামতো গোপনে বিয়ে হয়ে যায় ওই যুবক যুবতীর। মীর বাড়ী থেকে ওই যুবককে ভারতীয় মুদ্রায় দেওয়া হয় প্রায় 16 লক্ষ টাকা।
আরো পড়ুন: অতি সম্প্রতি এই কয়টি স্ব’প্ন দেখেছেন? কি কি ঘ’ট’তে পা’রে জীবনে জানুন
বিয়ের পরেই নবদম্পতি চলে যান অন্য একটি শহরে। বিয়ের পর থেকেই ওই মহিলাকে সবার থেকে কার্যত আলাদা করে দেওয়া হয়। মহিলার থেকে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করে নেন তার স্বামী। শুধু তাই নয় বিয়ের কোনো কাগজপত্র স্ত্রীকে দেখাতে চান না তিনি। এই সব ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই ওই মহিলার মনে সন্দেহ দানা বাঁধে।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়, বিয়ের পায়ের দশ মাস কেটে যাওয়ার পর ওই মহিলা বুঝতে পারেন তার স্বামী কোন পুরুষ নন, ভয়ানক ভাবে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে তাকে। টাকা হাতিয়ে এবং পরিচয় গোপন করে প্রতারণা করা হয়েছে তার সঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়াতে এমন একটি ঘটনা শুনে রীতিমতো হতবাক হয়ে গেছে সকলে।