ইতিমধ্যেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামের ঘোষণা করা সাধারণ বাজেটে আয়কর কাঠামো বদলে দেওয়া হয়েছে। সেই সমস্ত নিয়ম শুরু হতে চলেছে শনিবার থেকেই। অনেকেই বছরে শেষে আয়কর কমানোর জন্য অনেক কিছু করে থাকেন কিন্তু বুদ্ধিমানের কাজ হল অর্থর্ষের গোড়া থেকে এই নিয়ম জেনে রাখা ।
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এবার আসুন জেনে নিই অর্থবর্ষে কি কি দশটি বদল আসতে চলেছে।
১.নতুন কর ব্যবস্থা অনুযায়ী ৭ লক্ষ টাকার পর্যন্ত কর ছাড় হয়েছে।
২.স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনে কোনরকম পরিবর্তন হচ্ছে না পুরনো কর ব্যবস্থা ও তার ৫০ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন রাখা হয়েছে।
৩.যারা পুরনো পদ্ধতিতে কর দেবেন বলে মনে করছেন তাদের ক্ষেত্রে এই ছাড় পাওয়া যাবে না।
৪.যারা পেনশনভোগী তাদের ক্ষেত্রে ১৫.৫ লক্ষ টাকাতে আয়ের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন হবে ৫২ হাজার ৫০০ টাকা।
৫.নতুন নিয়ম অনুযায়ী শূন্য থেকে তিন লাখের জন্য কোন রকম আগামী দিনে কর দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ৩ লাখের উপর থেকে ৬ লাখের মধ্যে ৫ শতাংশ কর দিতে হবে, ৬ লাখের উপর থেকে ৯ লাখ এর জন্য দিতে হবে ১০ শতাংশ কর এবং ৯ লাখের ওপর থেকে ১২ লাখের জন্য দিতে হবে ১৫ শতাংশ কর এবং ১৫ লাখের জন্য দিতে হবে ৩০ শতাংশ কর।
আরো খবর: এপ্রিল মাস থেকে রেশন পাওয়ার নি’য়’ম ব’দ’লে যাচ্ছে! কত কে’জি করে পাবেন খাদ্যশস্য?
৬. এছাড়া এল টি এর সীমা বেড়েছে ২০০২ সাল থেকে বেসরকারি কর্মচারীদের জন্য যে লিভ এন ক্যাশমেন্ট অথবা ছুটির বিনিময়ের নগদত্তের সর্বোচ্চ সীমা ছিল দুই লাখ যা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৫ লাখ।
৭. ই গোল্ডে কোনরকম ট্যাক্স নেই ,যদি ফিজিক্যাল গোলকে ইগোল্ড রশিদে রূপান্তরিত করা হয় তবেই মূলধন লাভে কর দিতে হবে না।
৮. সিনিয়র সিটিজেনদের ক্ষেত্রে সেভিংসে ১৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে।
৯.যদি জীবন বীমার প্রিমিয়াম বছরে ৫ লাখ টাকার বেশি হয় তবে সেটা করের আওতায় পড়বে।
১০. এরপর থেকে ডেট মিউচুয়াল ফান্ডে এলটিসিজি করের সুবিধা পাওয়া যাবেনা অর্থাৎ মূল্য বৃদ্ধির জন্য এরপর থেকে ১০ শতাংশ কর ছাড়ের সুবিধা আর পাওয়া যাবে না।