ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির মধ্যে স্টেট ব্যাংকের গ্রাহকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তবে স্টেট ব্যাংকের গ্রাহকরা নানান রকম সমস্যার ভুক্তভোগী। মাঝেমধ্যে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় গিয়ে তাদের অভিযোগ জানাতেও দেখা যায়। আপনিও কি একজন স্টেট ব্যাংকের গ্রাহক! আপনার একাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে এমন মেসেজ এসেছে আপনার ফোনে?
ইদানিং আশি শতাংশ স্টেট ব্যাঙ্কের গ্রাহক এই ধরনের মেসেজ পেয়েছেন। তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৪৭.৫০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে বলে একটি মেসেজ পাঠানো হয়েছে ব্যাংকের তরফ থেকে। কি ভাবছেন কোন প্রতারকরা এমন মেসেজ পাঠাচ্ছেন। একেবারেই নয় বরং খোদ ব্যাংকের তরফ থেকে এই মেসেজ পাঠানো হয়েছে।
কেন গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা কেটে নিচ্ছে ব্যাংক! স্টেট ব্যাংকে তরল থেকে জানানো হয়েছে গ্রাহকদের মধ্যে যাদের ডেবিট কার্ড রয়েছে কেবল তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে এই টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। ডেবিট কার্ড রক্ষণাবেক্ষণ করবার জন্য প্রতিবছর একটা চার্জ নেওয়া হয় সেই অনুযায়ী এই টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে।
আরো খবর: এই তিন রাশি শনির সাড়ে সাতির ক’ব’লে, এই জিনিসগুলো শনিবার ক’রে কিনবেন না
গ্রাহকদের একাউন্ট থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কেটে নেওয়া হয় সেটাই টুইটার হ্যান্ডেলে জানিয়ে দিয়েছে স্টেট ব্যাংক। তারা গ্রাহকদের আরো জানিয়েছে অযথা আতঙ্কিত হবেন না। ব্যাংকে চার্জ হিসেবে গ্রাহকের কাছ থেকে ১৪৭.৫০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। প্রতিটা ডেবিট কার্ডের মাথাপিছু এই চার্জ হল ১২৫ টাকা।
তার ওপর জি এস টি বসেছে ১৮ শতাংশ। কেউ যদি আবার ডেবিট কার্ড পাল্টাতে চান তবে সে ক্ষেত্রে তাকে ৩০০ টাকা এবং অতিরিক্ত জিএসটি দিতে হয়। বেশিরভাগ ব্যাংকের ক্ষেত্রেই একই খরচ থাকে ডেবিট কার্ডে। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে একাউন্টে গ্রাহকদের পর্যাপ্ত ব্যালেন্স থাকে না সে ক্ষেত্রে এটিএম লেনদেন যদি ব্যর্থ হয় তবে কুড়ি টাকা জরিমানা বাবদ দিতে হয় ব্যাংকে।
এর উপর বসানো হয় GST। এইচডিএফসি অ্যাক্সিস কোটাক মাহিন্দ্রা ইয়েস ব্যাংক এবং আইসিআইসিআই ব্যাংকের ক্ষেত্রেও এই জরিমানা দিতে হয়।। গ্রাহকের একাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকলে কুড়ি টাকা এবং অতিরিক্ত জিএসটি কেটে নেয় তারা। এসএমএস কিংবা মিসড করে মাধ্যমে বিশদ বিবরণ জানতে পারবেন গ্রাহকরা।