এই বছর যেখানে পশ্চিমবঙ্গবাসী একটু বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছে যাতে পরিমাণ মত ফসল ফলতে পারে আর একটু গরম থেকেও রেহাই পেতে পারে, সেখানে বেঙ্গালুরুর মত উন্নতমানের এই জায়গায় বন্যা হয়ে জল থৈ থৈ করছে। বিশাল বিশাল বাংলো গুলোয় মানুষ আর থাকতে পারছে না। জলের স্রোত ঘরের ভিতর অবধি পৌঁছে গিয়েছে। গত তিন দিন ধরে বেঙ্গালুরু রীতিমত ভাসছে। জানা গিয়েছে সাধারণ মানুষ তো ভুগছে বটেই উচ্চবিত্তরাও রেহাই পায়নি।
তাদের দামী বিএমডাব্লিউ জলে ডুবে গিয়েছে প্রায়। এছাড়াও এই সমস্ত বাড়িতে নামী দামী আসবাবপত্র গুলিও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এই বন্যার কারণে। আর তাই এই অভিজাতরা এই জায়গা ছেড়ে উচু কোনো বড়ো হোটেলে থাকার জন্য চলে যেতেও দেখা যাচ্ছে। আর এই দুরসময়ে হোটেল মালিকরাও নিজেদের ইচ্ছে মত দাম বলছেন। যে সমস্ত হোটেলে একদিনের রুম ভাড়া ছিল ১০ – ২০ হাজার টাকা সেই হোটেলেই এখন এক রাত ৩০ হাজার টাকা দিয়ে থাকতে হয়েছে।
পার্পেল ফ্রন্ট টেকনোলজিসের সিইও মীনা গীরিশওয়ালা জানিয়েছেন, তাঁরা যে কটা দিন হোটেলে কাটিয়েছেন ৪২ হাজার টাকা প্রতি রাতের খরচে৷ তাঁরা ওল্ড এয়ারপোর্ট রোডের হোটেলে ছিলেন বলেও জানিয়েছেন। শুধু ওই হোটেল নয় ওই শহরের প্রায় সব হোটেলই যেমন বেঙ্গালুরুর হোয়াইট ফিল্ড, আওটার রিং রোড, ওল্ড এয়ারপোর্ট রোডের হোটেলে এমন বিপুল দাম নেওয়া হচ্ছে৷ এমন অবস্থা যে আগে থেকে বুকিং করলে তবে হোটেল পাওয়া যাচ্ছে। শুক্রবার পর্যন্ত সমস্ত হোটেল বুকিং করা হয়েছে৷
অনেকেই বিপুল দামের জন্য হোটেলের ঘর নিতেও পারছেন না৷ যারা লাক্সারি হোটেল ছাড়া থাকেন না তাঁরাও হোটেলের এক তলাতে থাকতেও রাজি হয়ে যাচ্ছেন কারণ তাঁদের বিলাসবহুল বাড়িতে থাকার মতো অবস্থা এখন আর নেই। এই অবস্থার জন্য অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে। বায়োটেকনোলজি শিল্পের প্রধান কিরণ মজুমদার শাউ লিখেছেন, এমন বন্যা পরিস্থিতি আগে কখনও দেখেনি বেঙ্গালুরু৷ এর সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষমতা বেঙ্গালুরুর নেই৷
শুধু সে-ই নয় আন-অ্যাকাডেমির প্রধান কর্ণধার গৌরব মুনজলের অবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতন। তিনি এমন আটকে পড়েন যে তাকে একটি ট্রাক্টরে করে উদ্ধার করতে হয়েছে৷ এছাড়াও শিল্পপতী ইশান মিত্তলের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে নেই বিদ্যুৎ পরিষেবা৷ বিভিন্ন বিলাসবহুল আবাসনের সামনে দেখা গিয়েছে ভাসছে বিখ্যাত জার্মান ও ইতালিয় গাড়িও৷ বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সকলের বলে জানা যাচ্ছে।