মূল্য বৃদ্ধি তো সব কিছুকেই গ্রাস করেছে একে একে। এবার কি তাহলে চিকেনও তাঁর কবলে পরতে চলেছে? কারণ বাঙ্গালির রবিবারের পাত থেকে উধাও হয়ে যেতে পারে চিকেন। কারণ মুরগীর দাম ইতিমধ্যেই ছুয়ে ফেলেছে ৩০০ টাকার গন্ডি।
এমনিতেই মানুষ ভালো কোনো সবজিতে হাত দিতে পারছে না, কারণ হাত দিলেই ছ্যাকা লাগছে। পাঠার দাম তো প্রথম থেকেই আগুন। যাও মুরগীটা বেঁচে ছিল সেটাও এখন অগ্নিমূল্যের কবলে। ডিম থেকে শুরু করে মুরগীর মাংস সব কিছুতেই আগুন। এক ট্রে ডিমের দাম ১৩৭ থেকে ১৪৪ টাকার মধ্যে।
এই বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মদন মাইতি।তিনি এই বিষয় নিয়ে বলেন ডিমের দাম কম রয়েছে ঠিকই কিন্তু আগামীতে ডিমের দামও বাড়বে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
আরো পড়ুন: রাজ্যের সঙ্গে কুণালের মামলার নি’ষ্প’ত্তি হলো, অবশেষে দো’ষী সা’ব্য’স্ত হলেন তৃণমূল নেতা
কারণ এখন মুরগীর ফার্ম গুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ডিমের দাম না বাড়ালে চাশীরা অনেকটাই ক্ষতির মুখে পরবে। তাঁদের একটি ডিম বিক্রি করে লস হচ্ছে ১ টাকা ২৫ পয়সা। তাই ডিমের দাম বাড়তে বাধ্য।
মুরগীর জোগান কম থাকায় ডিমের জোগান কম, কিন্তু চাহিদা তো একেবারে তুঙ্গে। একডজন ডিমের দাম ৬০ টাকা সব জায়গায়। যদি প্রতি পিস ডিমের দাম ৬ টাকা করে হয় তাহলে এক ট্রের ডিমের দাম ১৭০-১৭৫ এর মধ্যে থাকবে।
ডিম হল কম দামে প্রোটিন যুক্ত সহজলভ্য একটি খাবার। সেখানে যদি মূল্যবৃদ্ধি হয় তাহলে তো প্রোটিনের অভাব দেখে দেবেই। সাধারণ মানুষ সব কিছুকে ছেড়ে ডিমে মনোনিবেশ করেছিল ঠিকই কিন্তু এবার যে পকেটে টান পরতে চলেছে বাঙালী মধ্যবিত্তের সেটা স্পষ্ট।