সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

রাজ্যের সঙ্গে কুণালের মামলার নি’ষ্প’ত্তি হলো, অবশেষে দো’ষী সা’ব্য’স্ত হলেন তৃণমূল নেতা

কুণাল ঘোষ কে জানেন তো? রাজ্যের শাসক দলের মুখপাত্র। অতীতেও তৃণমূলের সাথে তাঁর একটা যোগ ছিল এখনও রয়েছে সেই যোগ। কিন্তু অতীতের সাথে বর্তমানের যদি তুলনা করতে যান তাহলে একটু হলেও মিল খুজতে অসুবিধাই হবে।

সারদা আর্থিক প্রতারণার মামলায় জেল পর্যন্ত খাটতে হয়েছিল কুণাল ঘোষকে।এবার সেই জেলে থাকাকালীন একটি ঘটনা নিয়ে ফের বিতর্কের সৃষ্টি হল সম্প্রতি। সালটা ২০১৪ দিনটা ১৩ ই নভেম্বর, সারদা কান্ডে বহুদিন তিনি জেল খেটেছিলেন।

আর জেলে থাকাকালীন অবস্থায় ঘুমের ঔষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। তবে জেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সেটা অস্বীকার করা হলেও, মেডিক্যাল পরীক্ষায় সমস্ত কিছু স্পষ্ট হয়ে যায়। আর তাঁর পেটে পাওয়া যায় ঘুমের ঔষুধ।

আরো পড়ুন: দুটি FIR স’ত্ত্বে’ও কো’নো হেলদোল নেই, ফেসবুক লাইভে এসেও অ’শ্লী’ল ভ’ঙ্গি রোদ্দুর রায়ের

এবার সেদিনের মামলার রায় দিলেন বিচারক মনোজিত ভট্টাচার্য্য। তখনকার সেই কুণাল বনাম রাজ্য সরকারের মামলাটি বিশেষ আদালতে তোলা হলেও দোষী সাব্যস্ত করা হয় কুণালকেই। তবে হ্যা জানা যাচ্ছে তাঁর নাকি কোনো শাস্তি হয় নি।

এই মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারক জানায়, বর্তমানে আমাদের সামনে যে কুণাল বনাম রাজ্য সরকারের মামলার নথি পেশ করা হয়েছে। সেটা দেখে স্পষ্ট বলা যায় যে ২০১৪ সালের ১৩ ই নভেম্বর কুণাল ঘোষ ঘুমের ঔষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল।

আমাদের এটা জানা উচিৎ, আত্মহত্যা করা একটা অন্যায়ের মধ্যেই পরে। যার কারণে শাস্তি হিসেবে তাঁর জেল পর্যন্ত হতে পারত। তবে মনে করা হচ্ছে মানসিক অবসাদের কারণেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন।

আরো পড়ুন: কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে গরম বা’ড়’তে চ’লে’ছে শীঘ্রই, কি ব’ল’লো হাওয়া অফিস জেনে নিন

বর্তমানে তিনি একজন সম্মানীয় ব্যাক্তি, তাঁর সামাজিক সম্মানের কথা মাথায় রেখেই তাকে কোনোরকম শাস্তি দেওয়া হয় নি। কুণাল ঘোষকে উদ্দেশ্য করেই বিচারক বলেন, আপনি একজন নামী সাংবাদিক ।

আপনার ওপরে সমাজের মানুষের অনেক আশা রয়েছে। অতীতের সিদ্ধান্ত আপনার ভুল ছিল। মানুষ অবসাদের স্বীকার হয় ঠিকই কিন্তু তাই বলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া অপরাধমূলক একটি কাজ। আপনি এই সবের থেকে বিরত থাকুন ও সামনের দিকে এগিয়ে যান।