জীবনের প্রথম পরীক্ষা আমরা মাধ্যমিক বলে জানি। এরপর উচ্চমাধ্যমিক তারপর গ্রাজুয়েশন। কিন্তু ছোটখাটো যেকোনো পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে বাড়ির বড়রা হঠাৎ মা বা ঠাকুমা দই চিনি খায় তবে পরীক্ষার জন্য পাঠান।
শুধুমাত্র পরীক্ষা নয়, যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে যাওয়ার আগে বাড়ির বড়রা দই চিনি মুখে দিয়ে দেন। এটি শুধুমাত্র কুসংস্কার মানার জন্য করা হয় তা কিন্তু নয়। এর পেছনে রয়েছে একটি বৈজ্ঞানিক কারণ।
ভারত বিশ্ব প্রধান দেশ। বেশিরভাগ সময় আমাদের ভারতবর্ষে গরম থাকে। বেশিরভাগ সময় গরম থাকার কারণে আমরা বেশি মাংস মাছ খেয়ে ফেললে আমাদের শরীর গরম হয়ে যায়।
আরো পড়ুন: বে’কা’র’ত্বে’র কারণে অবসাদে ভুগছিলেন যুবক, চিবুকে ব’ন্দু’ক ঠে’কি’য়ে সুইসাইড
এই অবস্থায় বেশি করে দই খাওয়া উচিত আমাদের। দই অথবা চিনি খেলে আমাদের শরীর অনেক বেশি ঠান্ডা হয়ে যায়, হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
কেউ কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় দই খাওয়ানো হয় কারণ দই এবং চিনি খাইয়ে দিলে সেই ব্যক্তির শরীরে গ্লুকোজ তৈরি হয়ে যায় এবং শরীরের তাড়াতাড়ি ক্লান্তি আসে না।
ফলে যে কাজের জন্য ওই ব্যক্তি বের হচ্ছেন, তাতে ক্লান্তি না আসার কারণে সফলতা আসতে পারে বেশি। তাই পরীক্ষা অথবা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে বের হওয়ার আগে কপালে ফোঁটা দেওয়া অথবা দই চিনি খাওয়ানো আমাদের বহু পুরনো একটি রীতি।