সারা দেশ জুড়েই তাপমাত্রার পারদ ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বগামী। সূর্য নিজের প্রকোপ দেখাতে শুরু করে দিয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। গরমে নাজেহাল অবস্থা সকলের। তীব্র পানীয় জল সংকট দেখা দিয়েছে। এত গরম মৃত্যু ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলেছেন চিকিৎসকরা। নিয়মিত পর্যাপ্ত জল পান ও খাবার খেতে বলা হচ্ছে।
গরমের তীব্র দাবদাহে হাসফাঁস করছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বিভিন্ন জেলা।সারা রাজ্য জুড়ে শীতের বিদায় ঘণ্টা ইতিমধ্যেই বেজে গেছে।তাপমাত্রার পারদ ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বগামী। উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকলেও দক্ষিণবঙ্গে সূর্যমামা নিজের প্রকোপ দেখাতে শুরু করে দিয়েছে।
পারদ মাঝে মধ্যেই উঠে যাচ্ছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে,সঙ্গে যোগ হয়েছে শুষ্ক বায়ু। যা এই গরমকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে। হওয়ায় অফিস সূত্রে খবর,অন্য বছরের তুলনায় এ বছর সূর্যের প্রকোপ কিছুটা আগের থেকেই দেখা যাচ্ছে।ফলে এপ্রিলে মাসেই গরমের দাপট অন্যবারের থেকে বেশি হবে বলেই খবর।
আরো খবর: সরকারি ব্যাংকে ৩৫০০০ কোটি টা’কা পড়ে আ’ছে, কা’রা পাবেন এই টাকা?
কলকাতায় বৃহস্পতিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।ফলে হিট স্ট্রোকের সতর্কতা দিয়েছে হাওয়া অফিস। আগামী কয়েকদিনে আরও বাড়বে তাপমাত্রা। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর,এপ্রিলের ১০ তারিখ থেকে ১৪ ও ১৫ তারিখ পারদ সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এই সময়ে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলা এবং উত্তরবঙ্গে মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে । বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত আলিপুরে তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৫, সল্টলেক ৩৭.৩ডিগ্রি, বাঁকুড়া ৩৮.২ ডিগ্রি, মালদা ৩৭.২ ডিগ্রি, আসানসোল ৩৬.৫ ডিগ্রি এবং শ্রীনিকেতনে ৩৬ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ রয়েছে ৩৬ থেকে ৮৪ শতাংশ।