সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বে’কা’র’ত্বে’র কারণে অবসাদে ভুগছিলেন যুবক, চিবুকে ব’ন্দু’ক ঠে’কি’য়ে সুইসাইড

যাকে বলে ডিপ্রেশন , গভীর অবসাদে গিয়েই আত্মঘাতী হলেন এক ব্যক্তি। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে তারকেশ্বর থানার অন্তর্গত মোজপুর গ্রামে। যে ব্যক্তি আত্মঘাতী হয়েছেন তার বয়স ৪২ বছর, নাম শান্তনু ঘোষ। সে একসময় এটিএম এ টাকা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতো।

সেই কারণে তার লাইসেন্সপ্রাপ্ত ডবল ব্যারেলের একটি বন্দুক ছিল। সেই বন্দুক দিয়েই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃতের মাথা থেকে ঘিলু বেরিয়ে গিয়েছে। তার বন্দুক দিয়ে থুতনির জায়গায় লাগিয়ে গুলি করেছেন তিনি নিজেই।

আর সেই কারণেই মাথা ফুরে বেড়িয়ে গেছে গুলি। ইতিমধ্যেই বন্দুকটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। স্থানীয় মানুষদের তরফ থেকে জানা গেছে, লকডাউন এর পর থেকেই সে বাড়িতে বসে। একেবারে কাজ হারিয়ে বহুদিন থেকেই বাড়িতে বসেছিলেন তিনি।

আরো পড়ুন: কলকাতার নেতাজি সুভাষ ডকে জাহাজ ডু’বি, মাত্র ১৫ মিনিটেই ডু’বে গে’লো ভেসেল

আর সেই কারণেই অবসাদে চলে গেছেন। সময়ের সাথে সাথে তার মন একেবারে অবসাদ গ্রস্ত হয়ে পরে। যার কারণেই আজকের তার এই পরিণতি । অর্থের অভাবে সে নাকি তার জমি পর্যন্ত বিক্রি করেছে। মোটকথা এই অভাবের তারায় সে মুক্তি পেতে চেয়েছে এই ভাবেই।

এদিকে জানা যায় তার স্ত্রী ও তিনবছরের মেয়ে থাকত তার শ্বশুর বাড়িতে। সপ্তাহ খানেক আগেই মোজপুরে এসেছিলেন তার স্ত্রী ও মেয়ে।শান্তনুর এই আত্মহত্যার পরিকল্পনা ছিল আগের থেকেই এমনটা মনে করছে পুলিশ।

কারণ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তেমন ভাবে কারো সাথেই কথা বলত না শান্তনু। সে সবার থেকে দূরে দূরেই থাকত। তার ব্যবহারের মধ্যেও বিশাল বদল ঘটেছিল। তবে ওসি সমর দাস জানিয়েছেন, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত আমরা স্পষ্ট কিছু বলতে পারছিনা। তখনই জানা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ।