ইদানীং কালে রাজস্থান সরকার দুর্নীতি দূর করার জন্য নানা রকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু এর ই মধ্যে জয়পুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি-র অফিসে আধিকারিক থেকে শুরু করে কর্মীরা প্রকাশ্যে ঘুষ নিচ্ছেন এ ধরণের খবর বেশ কিছু দিন ধরেই রাজ্যের দুর্নীতিদমন শাখার কাছে আসছিল। এবার এই ঘুষ নিতে গিয়েই হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক সরকারি আধিকারিক।
কিন্তু তাতেও তার কোনো সংকোচবোধ নেই, বরং তিনি বলেন, “ঘুষ তো মন্দিরের প্রসাদ। কেউ দিলে তা নিষেধ করতে নেই।” এমন ঘটনায় ও মন্তব্যে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরের। জয়পুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি-র অফিসে আধিকারিক এবং কর্মীদের প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়ার খবর পেয়ে এই রাজ্যের দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকরা অভিযান চালালে সেখানেই একটা বড় ঘুষচক্রের পর্দা ফাঁস হয়। এক আধিকারিক-সহ পাঁচ জন হাতেনাতে গ্রেফতার হন। সূত্রের খবর, ধৃত আধিকারিকের নাম মমতা যাদব। এই আধিকারিকই দাবি করেছেন, ঘুষ নাকি মন্দিরের প্রসাদ।’
আরো পড়ুন: OMG: ২০২০ সাল থেকে এ’খ’নো পর্যন্ত মোট ৭৮ বার কো’ভি’ড প’জি’টি’ভ হয়েছেন এই বৃদ্ধ
এ প্রসঙ্গে দুর্নীতিদমন শাখার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, জয়পুরের সিদ্ধার্থনগরের এক বাসিন্দা ও তাঁর এক বন্ধু জমির পাট্টা নেওয়ার জন্য জয়পুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি-র অফিসে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের বলা হয়, পাট্টা পেতে গেলে আধিকারিক মমতাকে ছ’লক্ষ টাকা এবং ইঞ্জিনিয়র শ্যাম মালুকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দিতে হবে। ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি তাঁরা জানায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বজরং সিংহের কাছে। আর তারপর থেকেই তাঁর নেতৃত্বে নজরদারি শুরু হয়।
আরো পড়ুন: আত্মা ব’লে কি আদৌ কি’ছু আছে? মৃ’ত্যু’র পর কি অন্য কো’নো জী’ব’ন আছে?
পরিকল্পনা মতো দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকরা খুব সাধারণ পোশাকে অভিযোগকারী ব্যক্তির সাথে জমির পাট্টা নিতে টাকা নিয়ে ওই অফিসে হাজির হয়েছিলেন। ইঞ্জিনিয়র মালু তখন অফিসের বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন।
ওই ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিতেই তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকরা। তাঁর মাধ্যমে আরও তিন কর্মীকেও ধরা হয়। সবশেষে গ্রেফতার হন এই দুর্নীতির মাথা মমতা। দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকরা জানিয়েছেন মমতার ঘর থেকে নগদ এক লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে।