মানুষ যাতে ধূমপান থেকে দূরে থাকে সেই কারণেই সিগারেটের প্যাকেটের ওপরে বিভিন্ন ছবি প্রচার করা হয়ে থাকে। কিন্তু যেসব ছবি প্রচার করে থাকে সেসব দেখলে গা একেবারে শিউরে ওঠার জোগাড়। সেইসব ছবির মাধ্যমে বোঝানো হয়ে থাকে যে, সতর্কীকরণ না মানলে হতে পারে ক্যানসার, আর হতে পারে এমনও। কিন্তু দৈনিক মানুষজন সেই সব ছবিকে এড়িয়ে গিয়েও সহজেই ধূমপান করে চলেছে। এই ধরনের ছবি ব্যবহার করা ও টোবাকো কজেস ক্যানসার এই স্লোগান ব্যবহার করা হচ্ছে ২০১৮ সাল থেকেই। এখানেই শেষ নয় এর সাথে আরও ২০২০ সালে সিগারেট বিড়ির প্যাকেটের ৮৫% জুড়েই ব্যবহার করা হয়েছে এই ধরনের ছবি, উদ্দেশ্য একটাই যাতে এইসব দেখে মানুষের মনে ভয়ের সৃষ্টি হয় ও ধুম্পান থেকে বিরত থাকে মানুষজন।
কেন্দ্রীয় এই পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলও হয়েছে অনেকটাই। কিন্তু সরকার আরও ধূমপান কমাতে চায় দেশ থেকে, তার জন্যই এই বছরের ডিসেম্বর থেকে সিগারেটের প্যাকেটের ওপরের ছবি হতে চলেছে আরও ভয়ানক। ছবি দেখে যাতে মানুষের মধ্যে ধূমপান নিয়ে আরও বেশী ভয়ের সৃষ্টি হয় তার জন্য বিভিন্ন ভয়াবহ ছবি তৈরী করা হয়েছে, আর সেই কথা মাথায় রেখেই বর্তমানের দেওয়া ছবির মেয়াদ ইতিমধ্যেই শেষ হতে চলেছে। আর তার জন্যই ১ লা ডিসেম্বর থেকে নতুন ছবি আগের তুলনায় আরও কয়েকগুণ ভয়াবহ। কোম্পানির থেকে যেসব প্যাকেট নতুন ম্যানুফেকচার হয়ে বের হবে সেগুলোতে থাকবে মুখের মধ্যে ক্ষতচিহ্ন যা অনেকটাই ভয়ানক। ২০০৮ সালের সিগারেট তামাকজাত দ্রব্যের রুলস রেগুলেশনকে ২০১৮ সালে নতুনভাবে সংশোধন করা হয়েছে, আর এখানেই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সমস্ত তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেটে এই ধরনের নিষদ্ধকরণ বার্তা ও ভয়াল ছবি।
এই সিদ্ধান্তের পরে কাজও হয়েছে দারুণ ভাবে, গ্লোবাল এডাল্ট টোবাকো সার্ভের তরফ থেকে জানানো হয়েছে মানুষ যাদের মধ্যে ৫৪% বিড়ি ও ৬২% সিগারেট সেবনকারী তাদের ধূমপান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু ভালোর সাথে খারাপ হয়েছে আরেকদিকে, আর জি কর হাসপাতালের অঙ্কোলজি ডঃ অভিষেক বসু জানিয়েছেন, হয়তো একদিকে ধূমপান কমেছে কিন্তু মানুষের মধ্যে চিউং টোবাকো ব্যবহারের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগূণে।যা অনেকটাই চিন্তার বিষয়, বিশেষ করে কম বয়সী ছেলেমেয়ারাই এর শিকার।