সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

“খেলা নয় চাকরি চাই”, তৃণমূলের বি’রু’দ্ধে এখন মূ’ল’ম’ন্ত্র বিজেপির

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ‘খেলা হবে’ স্লোগান তুলে খেলা হবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছিল তৃণমূল। এক স্লোগানেই কার্যত বাজিমাত করে দিয়েছে তৃণমূল। একুশে বিধানসভা নির্বাচনের খেলায় বিজেপিকে পরাজিত করে দিয়েছে রাজ্য শাসকদের। তাই তৃণমূলের জয়জয়কার এখন সর্বত্র। এমনকি ভিন রাজ্য গুলিতেও চলছে খেলা হবে স্লোগানের চল। অন্যান্য রাজ্যে বিজেপি বিরোধী সংগঠনগুলিও তৃণমূলের এই স্লোগান ধার করে নিয়েছে।

উত্তর প্রদেশের বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি ভোজপুরি ভাষায় ‘খেলা হই” স্লোগান তুলেছে। এদিকে কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতিও বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে ‘খেলা হবে” স্লোগান তুলেছেন। তবে বিজেপি অবশ্য বরাবর তৃণমূলের এই স্লোগানের বিরোধিতা করে খেলার বদলে বরং ‘চাকরি হবে কর্মসংস্থান হবে শিল্প হবে’ এর স্লোগান তুলেছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একুশের নির্বাচনে জয়লাভ করার পর জানিয়ে দেন যে এবার থেকে খেলা হবে দিবস পালন করা হবে রাজ্যে। খেলা হবে দিবস অথবা খেলা হবে প্রকল্পের মাধ্যমে তৃণমূল রাজ্যের ক্লাবে ক্লাবে ফুটবল বিলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। রাজ্যে এভাবেই খেলাধুলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন তিনি। অন্যদিকে বিজেপির স্লোগান, ‘খেলা নয় চাকরি চাই’। গেরুয়া শিবিরের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে khela_noy_chakri_chai হ্যাশট্যাগের ট্রেন্ড উঠেছে।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও এই একই দাবি তুলেছেন। তার বক্তব্য, ক্লার্ক এবং আইসিডিএস মেন্সের রেজাল্ট এখনই প্রকাশ করা হোক। রাজ্য সরকারি দপ্তর গুলিতে কত শূন্যপদ বাকি পড়ে রয়েছে, তার সঠিক সংখ্যা তুলে ধরা হোক। কেন সেই শুন্য পদে নিয়োগ হচ্ছে না তার ব্যাখ্যা দেওয়া হোক। খেলায় মগ্ন সরকারের কাছে রাজ্যের ভবিষ্যৎ গৌণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। তাই দুর্নীতি বন্ধ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করার দাবি তুলেছেন তিনি।