প্রায় দেড় বছর হয়ে গেল সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে। অবশেষে নভেম্বর মাস থেকে অল্প অল্প করে তুলেছিল সমস্ত স্কুল-কলেজ। আরো একবার স্কুলের মুখ দেখতে পেয়েছিল স্কুল পড়ুয়ারা। কিন্তু পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে না যেতেই করোনাভাইরাস চলে গেল স্কুলে। মাত্র দশ দিনের মধ্যেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন দুই শিক্ষক। খবরটি জানাজানি হতে না হতেই বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আরো একবার বন্ধ করে দিতে হলে ইস্কুলের দরজা।
শুধু মাত্র দুজন শিক্ষক আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে তা নয়, অন্য শিক্ষকদের মধ্যে সর্দি কাশির মত উপসর্গ দেখা দিয়েছে। গোটা ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গেছে। ইতিমধ্যেই অবিভাবকরা পড়ুয়াদের নিয়ে ভীষণভাবে চিন্তিত। মঙ্গলবার এই খবর প্রকাশে আসার পর নীলমণি ব্রহ্মচারী ইন্সটিটিউট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বেশ কয়েকজন অভিভাবক ছেলেদের করোনা পরীক্ষা করিয়ে নিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। স্কুল চত্বরে জীবাণুমুক্ত করার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে জোরকদমে। এই বিষয়ই স্কুলের অশিক্ষক কর্মী চন্দন দাস জানিয়েছেন, এক শিক্ষক স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর দেন। আরো একজন শিক্ষক অনেক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। দুজনেই করোনা পজিটিভ হয়েছেন।
পরপর দুজন শিক্ষক করনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা প্রকাশ্যে আসার পর স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, আপাতত দুজনের জন্য স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বিষয়টি উদ্বেগের। ওই দুই শিক্ষকের সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন তাদের প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষা করানো হবে।