দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই আগামী ভবিষ্যৎ অনেকটাই সংকীর্ণ হয়ে আসছে যুব সমাজের জন্য। এর মধ্যে আমাদের প্রধান লক্ষ্য একটাই আবার উঠে দাঁড়ানো। কিন্তু কিভাবে? আমরা সবাই প্রতিমাসে একটা মোটা টাকা কামানোর উতস খুঁজি কিন্তু তার হদিস পাওয়া যায় না অত সহজে। তবে আমাদের আশেপাশের জিনিসের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সেই উৎস। আমরা সবাই জানি এমনকি জেনেও না জানার ভান করি, সেটা হল বিশ্বের বাজারে কালো মুরগী কতটা দামী ও জনপ্রিয়? এই মুরগীর নাম কড়কনাথ যা কিনা মুরগীর একটি দামী প্রজাতি। এই মুরগীর মাংসের দাম যেমন অনেকটাই বেশী সাথে এর গুনাগুণ অনেক। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে, পেশীর জোড় বাড়ানো, তার সাথে ক্যানসারের বিশাল প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এই মুরগীর মাংস।
যার বিশ্ববাজারে চাহিদা আকাশ ছোঁয়া, ঠিকমতো নজর করলে দেখা যাবে চাহিদা থাকলেও মুরগীর মাংসের জোগান অনেকটাই কম। ইতিমধ্যে মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তীশগড়ে এই মুরগীর ব্যবসা চলছে রমরমিয়ে।যার ফলেই কড়কনাথ মুরগীর ওপরে দেওয়া হয়েছে জি আই ট্যাগ। কড়কনাথ মুরগী যার গায়ের রং কুচকুচে কালো, এই মুরগীর মাংসের মধ্যে রয়েছে আয়রন, প্রোটিন। স্বভাবিকভাবে মাংসে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকটাই বেশী থাকে তবে এর মধ্যে খুবই কম থাকে কোলেস্টেরল। যার জন্যই সুগারের , হার্টের রুগীদের খুবই উপকারী একটি খাদ্য। এই মাংসের গুণাগুণ ও চাহিদা সব কিছুই ইতিবাচক, সেই কারণেই ব্যবসা শুরু করার জন্য সরকারী সাহায্য পাওয়া যায় সহজেই।
ছত্তিসগড়ে সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই এই ব্যবসার জন্য দারুণ সাহায্য করা হচ্ছে। যদি কেউ ৫৩ হাজার টাকা জোগাড় করতে পারে তাহলে তিন কিস্তিতে ১০০০ টি মুরগী ছানা সহ ৩০ টি মুরগীর শেড ও বিনামূল্যে আগামী ৬ মাস খাবারের ব্যবস্থা করবে সরকার।পাশাপাশি মুরগীর টিকাকরন ও স্বাস্থ্যের খেয়াল তো রয়েইছে। নিজেদের ইচ্ছামতো মুরগীর ছানা নিয়ে থাকে কৃষকেরা, কেউ কেউ ১৫ দিনের মুরগী ছানা নিয়ে থাকে আবার কেউ কেউ ১ দিনের। হিসেব করলে দেখা যায় এই মুরগী ৪-৫ মাসের মধ্যেই বিক্রির জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। বাজারে কড়কানাথ মুরগীর দাম ৩০০০-৪০০০ টাকার মতো। এই মুরগীর ডিমের দাম ২০-৩০ টাকা , যদি মাংসের কথায় আসা যায় সেটা সর্বাধিক হয় শীতকালে ১২০০-১৫০০ টাকা। তাহলে আপনি হিসেব করে দেখুন ৫৩০০০ টাকায় ১০০০ মুরগী কিনলে, মাংসের পরিমাণ মুরগী প্রতি ৩ কেজি। তাহলে হিসেব দাড়াচ্ছে ৩৫ লক্ষ।