সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ডুয়ার্সের নাগরাকাটার লাল ঝামেলায় চি’ন্তা বা’ড়া’চ্ছে”বেলেমাছি”, কালাজ্বর ঘি’রে আ’ত’ঙ্ক

করোনা আতঙ্কের পর এখন কালাজ্বরের আতঙ্কে ভুগছে জলপাইগুড়ি। নাগরাকাটা ব্লকে কালাজ্বরের বাহক বেলে মাছির সন্ধান মিলেছে। যার ফলে এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। পতঙ্গবিদ রাহুল সরকার ওই ব্লকের একটি বস্তিতে প্রথম এমন মাছির সন্ধান পেলেন। ওই এলাকায় কালাজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সন্ধানও মিলেছে। এরপরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে গৃহীত হয়েছে একাধিক কর্মসূচি।

নাগরাকাটার লাল ঝামেলা বস্তিতে বেলেমাছি বা ‘স্যান্ডফ্লাই’-এর অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছিলেন বিশিষ্ট পতঙ্গবিদ রাহুল সরকার। প্রায় কয়েক দশক পরে এই এলাকায় এমন পতঙ্গের খোঁজ মেলাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। সমীক্ষা চালাতে গিয়ে উষা বিশ্বকর্মা নামের এক রোগীর খোঁজ মিলেছিল গত মার্চ মাসে। তবে সময়মতো চিকিৎসা পেয়ে তিনি অবশ্য সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের আশঙ্কা বেলে মাছির সন্ধান যখন পাওয়া গিয়েছে তখন রোগীর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

গতবছর করোনার মধ্যে ম্যালেরিয়ার অ্যানোফিলিস মশা নিয়ে সমীক্ষা চালাতে গিয়েই বেলে মাছির সন্ধান পাওয়া যায়। যার পর থেকেই কার্যত এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করে। কালাজ্বরের বাহক এই মাছিকে নিয়ে উদ্বিগ্ন বস্তির মানুষেরা এবং স্বাস্থ্য দপ্তর। রাহুল সরকার জানালেন, বেলে মাছি মারার জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে তার পরেও মাছির অস্তিত্ব মিলেছে ওই বস্তিতে।

তিনি জানিয়েছেন মাছি মারার জন্য একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। তাকে সাময়িকভাবে মাছির সংখ্যা কম হলেও কিছুদিনের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা যায় বেলে মাছের সংখ্যা আগের তুলনায় কম হলেও বেশ ভালো সংখ্যায় রোগীবাহী ঘাতক মাছির উপস্থিতি রয়েছে ওই এলাকায়।