করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে জর্জরিত ভারত বর্ষ। এরইমধ্যে খবর পাওয়া যাচ্ছে যে তৃতীয় টিও ইতিমধ্যেই বিশ্বে আছড়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে সম্প্রতি একটি সচেতনতামূলক বার্তায় জানানো হয়েছে যে করোনার তৃতীয় ধাপের প্রাথমিক স্তরে পৌঁছে গিয়েছি আমরা। বিশ্বের ১১১টি দেশ করোনার এই ডেল্টা রূপ এই আশঙ্কায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আধিকারিকরা। হু-র প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রেইয়েসুস জানালেন বিশ্বে খুব ধীরগতিতে হলেও বাড়ছে সংক্রমণ এবং মৃতের সংখ্যা।
ডেল্টার বিস্তার আর তার সঙ্গে করোনা বিধি এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশ এই মুহূর্তে বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে। সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ছে মৃত্যুর হার। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে এবং করোনা নিজের রূপ ক্রমশ বদলাচ্ছে। অতএব এই মুহূর্তে আরো বেশি সর্তকতা অবলম্বন প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন হুয়ের কর্তা। করোনার এই তৃতীয় ঢেউ বিশ্বের ১১১টি দেশে ইতিমধ্যেই ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি এরকম থাকলে আগামী দিনে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে।
গত চার সপ্তাহ ধরে বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। হুয়ের নির্ধারিত ছ’টি অঞ্চলের মধ্যে পাঁচটিতেই সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী হার ধরা পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের দাবি, টিকার অভাব আর টিকা হয়ে যাওয়া দেশগুলিতে করোনা বিধি মানার গাফিলতিই তৃতীয় ঢেউয়ের প্রাথমিক স্তরে পৌঁছে দিয়েছে বিশ্বকে। তার পরামর্শ আসন্ন সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই বিশ্বের সবকটি রাষ্ট্রকে মোট জনসংখ্যার অন্তত ১০ শতাংশ টিকাকরণ সম্পন্ন করে ফেলতে হবে। নতুবা বিপদ এড়ানো যাবে না। এছাড়াও চলতি বছরের শেষেই বিশ্বের প্রতিটি দেশের ৪০ % মানুষকে টিকা দিতে হবে বলে দাবি করেছেন তিনি।