করোনা ভয় উপেক্ষা করেই ঝাড়খন্ড রাঁচির ধূর্ব থানার অন্তর্গত মৌসিবাড়ি এলাকায় বসেছিল বিয়ের আসর। বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থ খরচ করে বিয়ের আয়োজনে কার্পণ্য করেননি পাত্রী পক্ষ। সকাল থেকেই চলেছে বিয়ের তোরজোর। সঠিক সময়ে বরকে নিয়ে মণ্ডপে উপস্থিত হয়েছেন বরপক্ষ। বিয়ের অন্যান্য নিয়ম-নীতি এমনকি সাত পাকের অনুষ্ঠানে হয়ে গিয়েছিল। অথচ বিয়ের মন্ডপ থেকেই উঠে চলে গেলেন পাত্রী।
ঘটনার জেরে আনন্দ অনুষ্ঠান মুহূর্তের মধ্যেই অশান্তির ক্ষেত্র হয়ে ওঠে। রাঁচির মান্ডর এলাকার বাসিন্দা বিনোদ লোহরার সঙ্গে দেখাশোনা করেই বিয়ে ঠিক হয় মৌসিবাড়ির বাসিন্দা চন্দা লোহরার। অথচ সিঁদুর দানের আগেই কারকে কিছু বুঝতে না দিয়েই মন্ডপ ছেড়ে উঠে চলে যান পাত্রী। এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান যে পাত্রকে নাকি তার পছন্দ নয়। যে কারণে বিয়ে থেকেই বেঁকে বসেছেন তিনি। ঘটনার জেরে বরপক্ষ এদিকে পাত্রীপক্ষকে চাপ দিতে শুরু করে।
বিয়ের দরুন পাত্রপক্ষের যে পরিমাণ অর্থ খরচ হয়েছে সেই অর্থ তারা ফেরত চেয়েছেন। এদিকে বিয়ের ব্যবস্থা করতে গিয়ে এমনিতেই পাত্রীর বাবার বহু অর্থ খরচ হয়েছে। একদিকে মেয়ে বেঁকে বসেছে বিয়ে করবে না বলে। তার উপর আবার পাত্রপক্ষের জোরাজুরিতে চোখে অন্ধকার দেখছেন পাত্রীর বাবা। এদিকে আবার পাত্র পক্ষের টাকার দাবিতে তিনি আরও ভেঙে পড়েছেন।
২৯শে জুন বিয়ের দিন ধার্য করা হয়েছিল। সেই মতো পাত্রকে নিয়ে নির্দিষ্ট সময়েই বিয়ের মন্ডপে উপস্থিত হন পাত্রপক্ষ। বিয়ের অন্যান্য রীতি-নীতির পাশাপাশি সাতপাক ঘোরাও হয়ে গিয়েছিল। তবে সিঁদুর দানের ঠিক আগের মুহূর্তেই সকলের চোখ এড়িয়ে বিয়ের মন্ডপ ছেড়ে উঠে বেরিয়ে যান পাত্রী।