একেই হয়ত বলে রাজকীয়তা, আগামী ২০ নভেম্বর থেকেই কাতার বিশ্বকাপ শুরু, যার তোড়জোড় কাতার অনেক আগের থেকেই শুরু করেছিল, যার তোড়জোড় বিশ্বকাপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত যে চলতেই থাকবে তা আমরা সবাই জানি। খেলোয়াড়দের জন্য যে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ সেটা ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে, কিন্তু তাদের স্ত্রী কিংবা বান্ধবীদের কি হবে?
এবার তাদের জন্যও ঠিক একই ব্যবস্থা। কারণ শুধুমাত্র খেলোয়াড়দের স্ত্রী ও বান্ধবীদের জন্যই ৯৭০৫ কোটি টাকার প্রমোদতরী দোহার বন্দরে আসার আগেই দারুণ বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। প্রমোদতরী বিশ্বের অন্যতম দামী ও সেরা হলেও কিন্তু তার সাথে যুক্ত রয়েছে শ্রমিকদের পরিশ্রম। জানা গেছে সেই প্রমোদতরী বানানোর জন্য যে সমস্ত শ্রমিকরা কাজ করেছে তাদের সাথে ক্রীতদাসের মতো ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি যতপযুক্ত মাইনেও তারা পায় নি।
কিউবার হাজার খানেক শ্রমিকদের সাথে অত্যাচার করা হয়েছে। তাদের নির্ধারিত সময়ের বেশি কাজ করতে হয়েছে। জানা গেছে ভারতীয় মুদ্রার ১০ হাজার টাকার কম বেতন দেওয়া হয়েছে তাদের। তাদের সাথে যে ব্যবহার করা হয়েছে অনেকেই মধ্যযুগীয় ক্রীতদাস প্রথার সাথে তুলনা করছে। এরপরে এশিয় শ্রমিকদের কথাও উঠে এসেছে, তাদের দিয়ে রাস্তা স্টেডিয়াম, রেলপথ বানিয়ে নেওয়া হয়েছে। জানা গেছে ইংল্যান্ড থেকে যে সমস্ত ফুটবলার এসেছে তাদের স্ত্রী বান্ধবীদের জন্যই এই প্রমোদতরী।
তাদের থাকার ব্যবস্থা এখানেই করা হয়েছে। দোহার সমুদ্র তীরবর্তী একটি জায়গায় থাকবে এই প্রমোদতরী। যার ভেতরের আধুনিক ব্যবস্থার কথা ভাবলেই আপনি অবাক হয়ে যাবেন।কি নেই সেখানে। একেবারে মনে হয় নতুন এক পৃথিবী তৈরী করা হয়েছে তার ভেতরেই। এটি নাকি বিশ্বের অন্যতম দামী প্রমোদতরী যার এক রাতের খরচ ২ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা। ফলে ধনী ব্যাক্তি ছাড়া এই প্রমোদতরীতে ওঠার কারও সাধ্য নেই। স্পা, হোটেল, বিনোদনের যাবতীয় ব্যবস্থা সব রয়েছে এর মধ্যে। ২০১৬ সালেই এই প্রমোদতরী বানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল, মোট ৪ টি প্রমোদতরী তৈরী করা হয়েছে যার মধ্যে এটি অন্যতম।