বিপদের সময় যে পাশে থাকে সে তো প্রকৃত বন্ধু। কিন্তু জাতীয় দলের তকমা হারানোর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তৃণমূলের হাত ছেড়ে দিলেন এই প্রভাবশালী নেতা। ২০২১ সালে কংগ্রেস ছেরে তৃণমূল কংগ্রেসের নাম লিখিয়েছিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফেলেইরো। তৃণমূলের যুবনেতা তথা তৎকালীন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেন।
নভেম্বর মাসে থেকে রাজ্যসভার সাংসদ পথে মনোনয়ন করা হয়। রাজ্যসভার সংসদ হলেও গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। যদিও কোন এক অজ্ঞাত কারণে তিনি ভোটে লড়েননি। গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচনে মোটেই ভালো ফল করেনি তৃণমূল বর্তমানে তৃণমূলের পর্যবেক্ষকের পদে রয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ কীর্তি আজাদ।
এমনকি তার কাছেও এই ইস্তফার কোন কারণ স্পষ্ট নয় বলেও তিনি জানিয়েছেন। ফেলেইরো পদত্যাগ করবার ফলে রাজ্য সভায় তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যা বর্তমানে ১২। হঠাৎ করে তিনি কেন পদত্যাগ করলেন সেই কারণ স্পষ্ট নয়। তবে কি দল সুকৌশলে তাকে পদত্যাগ করবার নির্দেশ দিয়েছে?
আরো খবর: নববর্ষে তী’ব্র তাপপ্রবাহের স’ত’র্ক’তা জা’রি
তবে দিল্লিতে তার ঘনিষ্ঠ মহল দাবি করেছে অসুস্থতার কারণেই তিনি এই পদ পরিত্যাগ করলেন! ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন আর এক সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। তবে তিনি অবশ্য পদ ত্যাগ করার পরেই যোগদান বিজেপিতে।
যদিও এক্ষেত্রে ফেলেইরো কেন এমন পদত্যাগ করলেন তা নিয়ে জল্পনা বেড়েই চলেছে। কেউ কেউ বলছেন দুর্দিনে যে একটা মানুষ পাশে থাকে না সেটা প্রমান করেছেন এই বর্ষীয়ান নেতা। তবে কি তৃণমূলের ভরাডুবির আচ করেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন!