সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

যশের ক্ষ’ত এখনো টাটকা, এরই ম’ধ্যে ফে’র দু’র্যো’গে’র আ’ত’ঙ্ক গ্রা’স করছে সুন্দরবনকে

ঘূর্ণিঝড় যশের দাপটে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে সুন্দরবন। সুন্দরবনের রাস্তাঘাট এখনো মেরামত করা সম্ভব হয়নি। বহু মানুষ এখনো ঘরছাড়া। এরই মধ্যে আবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে চলেছে সুন্দরবন। নেপথ্যে ভরা কোটাল। ভরা কোটালের জেরে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে আবার সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা গিয়েছে। যে কারণে আবার আতঙ্কিত সুন্দরবনের বাসিন্দারা।

শুক্রবার সকাল থেকেই জল বাড়তে শুরু করেছে সুন্দরবনের ছটি ব্লকে জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। এই ছয়টি ব্লক হলো হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, সন্দেশখালি ১-২, হাড়োয়া, মিনাখাঁ। মাতলা, রায়মঙ্গল, কালিন্দী, ডাসা, বিদ্যাধরী, গৌড়েশ্বর, কলাগাছির মতো নদী গুলির জলস্তর ভরা কোটালের দরুন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার সঙ্গে দোসর হয়েছে বৃষ্টিপাত। সব মিলিয়ে জলস্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।

সুন্দরবন অঞ্চলের বাসিন্দারা বর্তমানে ঘর ছেড়ে নদী বাঁধের উপরে কিংবা রাস্তার ধারে ত্রিপল টাঙিয়ে বসবাস করছেন। সন্দেশখালির ভোলাখালি বা ভাঙা তুষখালি কিংবা ন্যাজাট, কালিনগর, ধামাখালি, হাটগাছির সাধারণ মানুষ ভীষণভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন আসন্ন বিপদের কথা চিন্তা করে। এখনো বহু মানুষ নতুনভাবে বাড়িঘর তৈরি করতে পারেননি। অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তারা। আর তার মধ্যেই নতুন বিপদ দেখা দিয়েছে।

প্রশাসনের তরফ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে যে, যে অঞ্চলগুলির বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল সেই জায়গা গুলির বাঁধের মেরামত হয়ে গিয়েছে। সন্দেশখালির দুটি ব্লক, হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখাঁ এবং হাসনাবাদে অধিকাংশ মানুষ ঘরে ফিরেছেন। তবে যারা ফিরতে পারেননি তারা আপাতত প্রশাসনের আশ্রয়েই রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। তবুও আতঙ্কে রয়েছেন সুন্দরবনের বাসিন্দারা।