সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন’ভা’ন্ডা’রে কি কি রয়েছে? শতাব্দী প্রাচীন তালিকায় কি কি নথিভুক্ত হয়েছিল?

পুরীর মন্দির নিয়ে নানা মিথ যেমন চালু রয়েছে, তেমনই রত্নভাণ্ডার নিয়ে নানা কথা শোনা যায়। বলা হয়, অজস্র সাপ জগন্নাথ দেবের অলঙ্কার পাহারা দেয়। কেউ সেখানে ঢুকলেই সাপের হিসহিস আওয়াজ শুনতে পাবেন।

তবে, ঘটনা হল ১৯৮৪ সালে যখন রত্নভাণ্ডার শেষবার পরিদর্শন করা হয় তখনও পরিদর্শকরা সাপের হিসহিস আওয়াজ শুনতে পান। এই রত্নভাণ্ডারে সাতটি ঘর রয়েছে। সামনের ঘরটি আনুমানিক ২০ বাই ২০ ফুট আয়তনের।

জানা যায়, সেই ঘরে শুধু দুয়েক আলমারি আর তিন-চারটে ট্রাঙ্ক রাখা। তবে তাও এই ঘর নিয়ে জল্পনার অন্ত নেই। এই রত্ন ভাণ্ডারের সাতটি কক্ষের মধ্যে তিনটি খোলা হয়েছিল। ১৯৮৫ সালে, এএসআই কিছু মেরামতের কাজ করার জন্য মন্দিরের ভিতরের কক্ষটি খোলার চেষ্টা করেছিল।

আরো পড়ুন: ভাড়া বাড়িতে কি ১৮ শতাংশ GST দি’তে হবে? জানুন আসল স’ত্য

তবে মাত্র দুটি ঘর খোলা সম্ভব হয়েছিল। ১৯২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুরীর রাজা গজপতি রামচন্দ্র দেবের তৈরি করা একটি তালিকা অনুসারে, জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার সোনার মুকুট সহ ১৫০টি সোনার অলঙ্কার সহ ৮৩৭টি জিনিস রয়েছে এই ঘরে। সোনার অলঙ্কারগুলির মোট ওজন ১৫ কেজির বেশি।

এই মন্দিরের কোষাগারে রয়েছে সোনার হার, মূল্যবান রত্ন পাথর, সোনার থালা, মুক্তা, হীরা, প্রবাল ও রৌপ্য সামগ্রী। জগন্নাথ মন্দির আইন অনুযায়ী, রত্ন ভাণ্ডার প্রতি তিন বছর পর পর অডিট করা প্রয়োজন। তবে রাজনৈতিক কারণে কোনও সরকার এই কাজে হাত লাগায়নি।