মৃত আত্মীয়দের ডেট সার্টিফিকেট জোগাড় করতে বেশ খানিকটা সময় লেগে যায়। এহেন পরিস্থিতিতে অনেকেই মৃত আত্মীয়দের কথা লুকিয়ে যায় ব্যাঙ্ক অথবা অন্যান্য সংস্থার কাছ থেকে। দীর্ঘ সময় এইভাবে মৃত ব্যক্তিদের তথ্য ব্যাংকের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা একেবারেই ঠিক নয়। পরিবারের কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হওয়ার পর তাড়াতাড়ি তার ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া উচিত। শুধুমাত্র ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নয়, এটিএম কার্ড বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
একজন মৃত ব্যক্তির এটিএম কার্ড নিয়ে কি হতে পারে সম্প্রতি তেমন একটি ঘটনা প্রকাশ্যে উঠে এসেছে। একজন স্ত্রীর মৃত্যুর পর তার স্বামী স্ত্রীর এটিএম কার্ডের মাধ্যমে বেশ কিছু মাস ধরে টাকা তুলছিলেন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর বিভিন্ন নথি থেকে বাঁচার জন্য এমন কাজ করেছিলেন তিনি। এহেন অবস্থায় এই খবর জানতে পারার পর ব্যাংক ওই স্বামীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় কোন মানুষের মৃত্যুর পর তাঁর ব্যাংকটির কোনরকম কাজকর্ম অন্য কোন ব্যক্তি করতে পারবেন না।
যিনি মৃত ব্যক্তির একাউন্ট থেকে টাকা তুলছে না তিনি যদি নমেনি হন, তাও এই কাজ করা উচিত নয়। আইনিভাবে নমিনির নামে টাকা ট্রান্সফার হওয়ার আগে কখনো টাকা তোলা উচিত নয়। এমন কোন ঘটনা ঘটলে ব্যাংক সঙ্গে সঙ্গে উত্তরাধিকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। এমন অপরাধ যদি প্রমাণিত হয়ে যায় তাহলে উপযুক্ত শাস্তির বিধানও রয়েছে।
মৃত ব্যক্তির যদি একাধিক নমেনি থাকেন, সে ক্ষেত্রে একজন নমেনি সেই টাকা তুলতে গেলে অন্য নমেনিদের নিজের অনুমতি নিতে হবে। মৃত ব্যক্তির ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করার জন্য যে সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে ব্যাংকে। উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে তবেই মৃত ব্যক্তির ব্যাংক একাউন্ট নিয়ে আপনি কাজকর্ম করতে পারবেন।